বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জাতীয় সড়কের তেজগঞ্জ এলাকায় থেকে এই ৬ জনকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। ডিএসপি ট্রাফিক (2) রাকেশ কুমার চৌধুরী বলেন, "জাতীয় সড়কের তেজগঞ্জ এলাকায় জড়ো হয়েছিল এরা। এরপরই পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২টি পাইপ গান, ৩টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।" এর পাশাপাশি তিনি জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকটি মোবাইল, ল্যাপটপ ও সাউন্ড সিস্টেম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা মোবাইল ছিনতাই-সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কেউ জড়িত আছে কি না জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বর্ধমানের এই তেজগঞ্জ এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে অনেক সময় জড়ো হয়েছিল ধৃত দুষ্কৃতীরা। এর আগেও এই এলাকা থেকে ডাকাত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই দলটি সেই উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের একটি দল ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঝোপের আড়ালে জমায়েত হয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর আসে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পুলিশের একটি বড়সড় দল এই অভিযানে অংশ নেয়। চারদিক দিয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। তাতেই ছয় দুষ্কৃতী ধরা পড়ে। তাদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র গুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জাতীয় সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তেমনটিই মনে করছে পুলিশ। অতীতে এরা মোবাইল চুরি সহ আর কোন কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তা-ও জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।