তবে উত্তম গ্রেফতার হলেও আর এক অভিযুক্ত নেতা শিবু হাজরা এখনও অধরা৷ উত্তম এবং শিবু, দু জনেই উত্তর চব্বিশ পরগণার জেলা পরিষদের সদস্য৷ শিবুর মতোই এখনও খোঁজ নেই সন্দেশখালির আর এক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানেরও৷ উত্তম এবং শিবু দু জনেই শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলেই দাবি সন্দেশখালির বাসিন্দাদের৷
আরও পড়ুন: ‘আমি রাজনীতি ছাড়লেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না’, জোড়া বৈঠকের পর মত বদল দেবের
advertisement
এ দিন অবশ্য উত্তম সর্দারের পাশাপাশি স্থানীয় বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তিনি বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অবর্জাভার পদে রয়েছেন৷ সন্দেশখালিতে অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷
গত কয়েকদিন ধরেই শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতা উত্তর সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে সন্দেশখালি৷ অভিযুক্ত দুই নেতা যথাক্রমে সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি৷ পাশাপাশি, তাঁরা জেলা পরিষদের সদস্যও৷ যদিও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি তৃণমূল৷
দুই নেতার বিরুদ্ধেই আদিবাসী সহ স্থানীয় গ্রামবাসীদের জমি দখল, মহিলাদের উপরে অত্যাচার সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে৷ ক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছেয় যে দুই নেতার পোলট্রি ফার্ম, বাগান বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা৷ পাল্টা বিক্ষোভকারীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ থেকে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে৷
গত বুধবার উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধে জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সন্দেশখালিতে৷ সেই সময় উত্তম সর্দারকে মারমুখী জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ৷ অভিযোগ এর পর থেকেই খোঁজ ছিল না ওই তৃণমূল নেতার৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য উত্তমকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷
