জানা গেছে, এই মনোক্লেড কোবরা কিছুটা ও আকৃতির বা মনোসেলেট হুড প্যাটার্নের হয়। এই প্রজাতির সাপেদের বয়স কম থাকার সময় বিভিন্ন রঙের হয়। এমনকি এদের জন্মের পরও একাধিক রংয়ের হয়। তবে বয়সের সাথে সাথে হালকা হয়ে যায়। সাধারণত সব সাদা রঙের হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক একটি কেউটে ৪.৫ থেকে ৭.৫ ফুট দৈর্ঘ্যে পৌঁছায়। তবে এর থেকেও অনেক বড় নমুনাও রেকর্ড করা হয়েছে কিন্তু তারা বিরল। বর্ধমান শহরের মধ্যে জনবসতি পূর্ণ এলাকায় কীভাবে সাদা মনোক্লেড কোবরা প্রজাতির সাপ উদ্ধার হল, তাও আবার খোদ গৃহস্থের বাড়ি থেকে এই বিষয়টি রীতিমত ভাবাচ্ছে পরিবেশবিদ ও বন দফতরের আধিকারিকদের।
advertisement
পরিবেশবিদরা বলছেন, মানুষ বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে পরিবেশে বসবাসকারী বিভিন্ন সরীসৃপদের স্বাভাবিক বাসযোগ্য জায়গাগুলিতে দখলদারি চালাচ্ছে। ফলে নিশ্চিন্তে ওইসব প্রাণীরা নিজেদের স্বভাব অনুযায়ী থাকার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না। অন্যদিকে ইঁদুরের গর্তেই সাপেরা বাসা বাঁধে। এদিকে ইঁদুররাই কার্যত সুরক্ষিত নয়, আর তাই তারাও গৃহস্থের বাড়িতেই বাসা বাঁধছে। বাড়ছে ইঁদুরের উপদ্রব। স্বাভাবিকভাবেই ঝোপ, জঙ্গল ছেড়ে এইসব বিষধররা নিরুপায় হয়ে জনবসতির মধ্যে নিশ্চিন্তে থাকার জায়গা খুঁজতে চলে আসছে। এরই মধ্যে যে বিষয়টি লক্ষ্য করার মতো সেটা হলো বন দফতরের লাগাতার প্রচার ও প্রয়াসে সাধারণ মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি বন্যপ্রাণ নিয়ে সচেতন, সতর্ক হয়েছেন। আর তার ফলেই এই সব প্রাণীরা লোকচক্ষুর সামনে আসলেই খবর পাচ্ছে বনদপ্তর। আর বনদপ্তর সর্বাঙ্গীন ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
আরও পড়ুন: যোশীমঠ সঙ্কট চরমে! ধামিকে জরুরি ফোন Modi-র! জানতে চাইলেন বিস্তারিত হাল-হকিকৎ
সাপেরা এই সময়ে লম্বা শীত ঘুমেই থাকে বলে জানতেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বন দফতরের গত কয়েক বছরের তথ্য বলছে সারা বছরের সঙ্গে শীতের সময়েও সমানতালে গৃহস্থের বাড়ি কিংবা রাইস মিল, কারখানা প্রভৃতি জায়গা থেকে প্রচুর পরিমাণে উদ্ধার হচ্ছে বিষধর গোখরো, চন্দ্রবোড়া, এমনকি কেউটেও।