তবে টাকা ঢুকলেও যে কোনও উপভোক্তাকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করতে পারে জেলা প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে তাদের প্রথম কিস্তির টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে ফেরত দিতে হবে।
আরও পড়ুন- হাতে সময় খুব কম, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পূর্ব বর্ধমানকে শেষ করতে হবে স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজ
দু'লক্ষ ২৬ হাজার ৮৯০ জনের তালিকা থেকে অনুপযুক্তদের বাদ দিয়ে এক লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৫১ জনের নাম বাছা হয়েছে। সেখান থেকে কেন্দ্রের বিশেষ সফ্টওয়ারের সাহায্যে পঞ্চায়েত ধরে অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা দ্বিতীয় পর্যায় আবাস প্লাসে বহু অনুপযুক্তদের নাম ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরজমিনে সমীক্ষা চালানো হয়। সেই সমীক্ষায় অনেকের নাম বাদ পড়লেও অনুপযুক্ত অনেকের নাম এখনো তালিকায় রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে তাদের নাম বাদ যাবে।
জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও যে কোনও উপভোক্তাকে এই প্রকল্পের অনুপযুক্ত ঘোষণা করে অনুমোদন বাতিল করতে পারে জেলা প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে তাদের প্রথম কিস্তির টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে ফেরত দিতে হবে। সেই টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি শেষ করার ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রতিটি ব্লক প্রশাসনকে পর্যাপ্ত নির্মাণ সামগ্রী মজুত রাখতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট গতিতে কাজ এগোচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৫৬,৭৫৪ জনের বাড়ি তৈরির অনুমোদন এসেছিল। ৫২,৭৩০ জনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও জায়গা না থাকায় কেউ কেউ বাড়ি পাননি।
আরও পড়ুন- ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন থেকেই বিপত্তি! ট্রেনে ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ, তারপরই...!
রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্র ১০০ দিনের মধ্যে প্রথম দফার বাড়ি তৈরি করতে বলেছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলা ৯০ দিনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ঠিক করেছে, পঞ্চায়েত স্তরে সপ্তাহে এক দিন, ব্লক ও মহকুমা স্তরে এক দিন ও মাসে এক দিন জেলা স্তরে বৈঠক করে বাড়ি তৈরির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।