পিয়ালীর বাবা স্নায়ু রোগে আক্রান্ত। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। পিয়ালী যখন অন্নপূর্ণা জয় করে সামিট করে তখনই বাড়ি থেকে খবর আসে বাবার অসুস্থতার কথা। অন্নপূর্ণার পরে লক্ষ্য ছিল মাকালু তবে বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে মাকালু পর্বতমালায় না গিয়ে পিয়ালী চলে আসেন সোজা তার চন্দননগরের বাড়িতে। বাবা সুস্থ হলে আবারও অভিযান শুরু করবে সে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৮ এপ্রিল সকাল ৯ টার বিমানে কাঠমান্ডু পৌঁছাবেন মাকলু অভিযানের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর হাতে নতুন 'অস্ত্র'..., বর্ধমানে বড় পরিকল্পনা! কী করতে চলেছেন?
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া বিরাট ভোলবদল! ফের ভাঙবে রেকর্ড? বড় সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায়!
পিয়ালী জানান, 'অন্নপূর্ণা এতটাই দুর্গম জল বা খাবার খাওয়া হয়নি। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে বসে থাকতে হয়েছিল সারা রাত। বিনা অক্সিজেনে যাওয়ার ফলে শরীর খারাপ হয়ে যায়, জ্বর, নাক ও গলায় ব্যথা হয়। পরদিন ফের সামিট করার জন্য বেরোতে হয়। ৮:১৫ নাগাদ অন্নপূর্ণা চূড়ায় পৌঁছই। সেখানে চূড়ার পৌঁছে এমার্জেন্সি ব্যাকআপ অক্সিজেন নিতে হয় চূড়ার কাছে। অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করতে অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছিল কারণ ওখানে নীল বরফে ঢাকা ছিল। তার উপর দিয়ে যেতে হচ্ছিল। এতটাই কঠিন বরফ ছিল যে জুতোই লাগানো লোহার কাঁটা সেখানে কোনওভাবেই দাঁড়াচ্ছিল না। কোনও জায়গায় আবার এক দিকে ফাটল অপরদিকে খাদ মাঝখানে সরু রাস্তার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। যেখানে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে পরিকল্পনার অভাবের জন্যই আমার বিনা অক্সিজেনে শৃঙ্গ জয় করা হাতছাড়া হল।
পিয়ালী বলেন, সব কিছু ঠিক আবার ২৮ শে এপ্রিল মাকালু অভিযানে যাচ্ছি। সেখানে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচা রয়েছে। তার জন্য এখনও পুরো টাকা জোগাড় হয়নি। রাজ্য কেন্দ্র সরকার এগিয়ে এলে সুবিধা হয়।
রাহী হালদার