ধান জমির ভেতর লুকিয়ে থাকছে শেয়াল। ধান কাটতে গেলে কৃষক কৃষি শ্রমিকদের ওপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তারা। তাই লাঠি হাতে মাঠে যাচ্ছেন সকলেই। ফ্লেক্সের প্রচারে বলা হয়েছে, শিয়াল আঁচরালে কামড়ালে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ দেবে বন দফতর।
advertisement
বর্ধমান জেলা নাগরিক মঞ্চ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে লাগানো ফ্লেক্সে বলা হয়েছে, শিয়াল থেকে সাবধান। গ্রামীণ এলাকায় শিয়ালের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে, মাঠে, ঘাটে, রাস্তায় সন্ধার পর লাঠি হাতে দলবদ্ধ ভাবে থাকুন। রাস্তায় গাড়ি চালান সতর্কতার সঙ্গে। আক্রান্ত হলে নিকটবর্তী হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। আক্রান্ত হলে বন দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোনও ভাবেই যেন SSC নিয়োগে দাগীরা জায়গা না পায়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, দেখুন ভিডিও
সোনাপলাশি গ্রামের বাসিন্দা বর্ধমান জেলা নাগরিক মঞ্চের কনভেনার জ্যোতিপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত কয়েক বছর ধরেই এই এলাকায় শিয়ালের বংশ বিস্তার ঘটছিল। তবে এ বছর তারা সংখ্যায় অনেক বেরিয়ে গিয়েছে। ভোর বা সন্ধের পর একা কৃষি জমিতে গেলে শিয়ালের হামলার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ধান জমিতে আশ্রয় নিয়ে থাকছে শিয়াল। কাছে গেলেই অতর্কিতে হামলা চালাচ্ছে। তাই আমরা গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে বলছি। লাঠি নিয়ে দলবদ্ধভাবে মাঠে যেতে হবে। সন্ধের পর শিশু কিশোরদের একা রাস্তায় যাতায়াত করতে দেওয়া যাবে না। শিয়াল কামড়ালে আঁচরালে হাসপাতালে গিয়ে প্রতিষেধক নিতে হবে। তা না হলে জলাতঙ্কের মতো রোগ হতে পারে। এছাড়া শিয়ালের হামলায় যখম ব্যক্তিদের বন দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। বন দফতর তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে। এসব এখানের বাসিন্দাদের অনেকের জানা নেই। সচেতন করার পাশাপাশি তাঁদের এসব বিষয়ে অবগত করতেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় ফ্লেক্স টাঙিয়েছি”।
