#বর্ধমান: রবিবার জমিয়ে বাজার করার লোভ সামলাতে পারলেন না অনেকেই। সকাল হতেই চা খেয়ে বাজারের থলি হাতে বেরিয়ে পড়লেন লক ডাউন শিকেয় তুলে। বেছে বেছে কিনলেন মাছ সবজি, খাসির মাংস। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আর্জি পাত্তা না দিয়ে ঘুরে ঘুরে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে কিনলেন পটল, ঢেঁড়শ, বেগুন, টমেটো, এঁচোড়, লাউ শাক। রবিবার বর্ধমান শহরের বাজারে বাজারে ছবিটা ছিল এমনই।
advertisement
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লক ডাউন চলছে দেশ জুড়ে। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে হাজার পার করেছে আগেই। প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী - সকলেই বাসিন্দাদের গৃহবন্দি থাকার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন। তবুও জরুরি প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাজারে বেরিয়ে পড়ছেন এক দল মানুষ। বর্ধমানের স্টেশন বাজার, তেঁতুল তলা বাজার, রানিগঞ্জ বাজার, নীলপুর বাজার, কালনা গেট বাজার, পুলিশ লাইন বাজার- সব বাজারেই একই রকম ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে।
আর এতেই প্রমাদ গুনছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, করোনা ভাইরাস এই সময় এক দেহ থেকে অন্য অনেকের দেহে ছড়িয়ে পড়বে এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই ছড়িয়ে পড়া আটকাতেই লক ডাউন। এই জন্যই এখন বাড়ির বাইরে পা দিতে পই পই করে নিষেধ করা হচ্ছে। তবুও এক শ্রেণির মানুষ সেই সব প্রচেষ্টা নষ্ট করতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন। দুঃখের বিষয় সেই দলে অনেক তথাকথিত শিক্ষিত বয়স্ক মানুষরাও রয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, এখন বেছে বুছে ভাল মন্দ রান্না করে খাওয়ার সময় এটা নয়। এখন ভাত ডাল আলুসিদ্ধ খেয়ে ঘরে আটকে থাকতে হবে। নচেৎ আমাদের দেশকেও মৃত্যুর মিছিল দেখতে হতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, খুব প্রয়োজন হলে পাড়ার দোকান থেকে ডিম সোয়াবিন আনিয়ে নিন। বাজারে বেরিয়ে মারণ ভাইরাসকে ঘরের ভেতর নিমন্ত্রণ করে আনবেন না। অথচ অনেকেই সেই সব তোয়াক্কা না করে নিজের ও পরিবারের সকলের বিপদ ডেকে আনছেন।
