প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বাসিন্দাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে তৎপরতা বাড়াল পুলিশ। বর্ধমানের জি টি রোডে কড়া রোদ উপেক্ষা করে মাস্ক না পরা বাসিন্দাদের আটকে সচেতন করা হলো। অনেকেই মাস্ক রেখেছেন পকেটে।কেউ নাক মুখ না ঢেকে মাস্ক ঝুলিয়েছেন গলায়। পরম যত্নে তাঁদের দাঁড় করিয়ে মাস্ক পরিয়ে দিলেন পুলিশ কর্মীরা। করজোড়ে তাঁদের মাস্ক পরার অনুরোধ করলেন। বললেন, আপনি আমার ছেলের মতো, ভাইয়ের মতো। হাতজোড় করে অনুরোধ করছি মাস্ক পরুন। জীবন নিয়ে এমন ছেলেখেলা করবেন না। পুলিশের সেই কাতর আবেদনে কাজ হচ্ছে। অনেকেই এখন মাস্কে মুখ ঢেকে পথে বেরনো অভ্যাসে পরিণত করেছেন।
advertisement
আজ পয়লা বৈশাখ বেলা দশটায় দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে মাস্ক বা ফেস কভার তৈরি করে মুখ ঢাকুন।তিনি আরও জানান করোনা সংক্রমণ দেখা দেওনি এমন এলাকাগুলিকে লক ডাউনে কুড়ি এপ্রিলের পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার কেউ করোনা আক্রান্ত নেই বলে দাবি জেলা প্রশাসনের। আগামী সাতদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দিতে পারলে এই জেলাও লক ডাউনের সেই বিশেষ ছাড়ের আওতায় আসতেই পারে।
এর আগেই ঘরের বাইরে বেরুলে মাস্কে মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। তারপর থেকেই মাস্ক পরার জন্য পথ চলতি বাসিন্দাদের আবেদন করছে পুলিশও। বাজারে দশ পনের টাকায় পাওয়াও যাচ্ছে ফেস কভার। যে যার মতো করে ফেস কভারে মুখ ঢাকছেন অনেকেই। তবুও কিছু মানুষ অকারনে নানান অছিলায় মুখে মাস্ক না লাগিয়েই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। তাঁদের নিয়মের মধ্যে আনতে হাতজোড় করতেও বাকি রাখছেন না পুলিশ কর্মী অফিসাররা।