পুজোর ছুটি শেষ। অফিসমুখো যাত্রীদের ভরসা সেই ট্রেন। যদিও শিয়ালদহ শাখায় ট্রেনের সমস্যা যে আজও মিটল না, ফের একবার তার প্রমাণ পেলেন নিত্যযাত্রীরা।
ঘোষণা করা হয় শিয়ালদহমুখী বারাকপুর লোকাল ঢুকছে স্টেশনে। ভিড়ে ঠাসা স্টেশনে মুহুর্তে ট্রেন ধরার ব্যস্ততা বাড়ে যাত্রীদের। তখনই দ্রুত গতিতে বেড়িয়ে যায় শান্তিপুর গ্যালপিং। ফের বারাকপুর লোকাল ঢোকার ঘোষণা হয়। এবারও আসে না নির্দিষ্ট ট্রেন। বদলে আসে লেডিস স্পেশাল। তাতে উঠতেও পারেন না যাত্রীরা। মাভূমি লোকালকে ঘিরেই শুরু হয় অবরোধ। পরে অবরোধ ছড়ায় সব আপ ও ডাউন লাইনে। দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক লোকাল। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েন যাত্রীরা।
advertisement
পুলিশের মধ্যস্থতায় তিন ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। কিন্তু কেন ঘটল এমন ঘটনা? রেলের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেন আসা-যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রেকর্ডিং করা থাকে। স্টেশন মাস্টার আগের স্টেশন থেকে সিগনাল পেলেই তা ঘোষণা করেন। অনেক ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীরাও মাইকে ঘোষণা করেন। এদিন সেই ঘোষণাতেই ভুল ছিল বলে রেল সূত্রের খবর।
যাত্রী বিক্ষোভ আঁচ করে তখনই তদন্তের নির্দেশ দেয় পূর্বরেল। ইতিমধ্যেই এক রেলকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রেলওয়ে বোর্ড মেম্বার অফ ট্রাফিক মহম্মদ জামসেদ। শিয়ালদহ স্টেশন পরিদর্শনের কথা থাকলেও ঘটনার পর তা বাতিল করে দেন তিনি। চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ও চিফ অপারেশনস ম্যানেজারকে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত দেড় বছরে সিগনাল খারাপ, দেরিতে ট্রেন চলা-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে শিয়ালদহ স্টেশনের বিরুদ্ধে। যদিও কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি রেল। ফলে রেলকর্তাদের আশ্বাসে আদৌ খুশি নন যাত্রীরা। তবে রেলওয়ে বোর্ড কর্তার পরিদর্শনের দিনই এমন ঘটনা ঘটায় শিয়ালদহের রোগ সারে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে তাঁরা।
