মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রশাসনিক সভা থেকে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তারপরও সাধারণ মানুষ সেই নির্দেশ না মেনেই ১৮ বছরের আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন চুপিসারে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের চার নম্বর গোলার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মপুর গ্রামে শেখ মতিবুল আলীর মেয়ের ১৮ বছর বয়সের আগেই পরিবার বিয়ে দিচ্ছিল মুগবসান গ্রামে। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কন্যাশ্রী ক্লাব। খবর দেওয়া হয় কেশপুর থানা ও বিডিও অফিসে। কেশপুর-এর জয়েন্ট বিডিও-র নেতৃত্বে কেশপুর থানার পুলিশের একটি টিম পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েই কন্যাশ্রী ক্লাবএর সদস্যরা তাদের সহপাঠীর বিয়ে আটকায়।
advertisement
প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে মুচলেখা নেওয়া হয়, যাতে ১৮ বছরের আগে কোনওভাবেই মেয়ের বিয়ে না দেয় পরিবার। প্রথমে পরিবার মানতে না চাইলেও শেষে কার্যত স্বীকার করে নেয় তারা লুকিয়েই বিয়ে দিচ্ছিল মেয়ের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, বারবার মানুষকে সচেতন করার পরও কীভাবে এই ধরনের কাজ হয়? গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাব বারবার রুখে দিয়েছে নাবালিকার বিয়ে। এই কন্যাশ্রী ক্লাবের প্রশংসা করেছে এলাকার সকলেই।
শোভন দাস