নদিয়ায় রানাঘাটের দুর্লভ পাড়া। বাড়িতে মায়ের চুরির আওয়াজ নেই। নেই বাবার বকুনি-স্নেহ। রান্না ঘরের উনুন জ্বলে না বহুদিন। হাড়িটাও এতোদিনে শুকিয়ে কাঠ। মা-বাবা কোথায়? জানা নেই তিন ভাই অভয়, রাম ও লক্ষ্মণের। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সবিতা বিশ্বাস রাম, লক্ষ্মণের জন্মের পরই বাড়ি ছেড়েছেন। স্বামী নতুন সংসার করেছে।
মা-বাবার স্নেহ কি তা অভয়, রাম, লক্ষ্মণ জানে না। সারাদিন হবিবপুরের হাসপাতাল লাগোয়া মাঠেই কাটে তাদের সময়।
advertisement
গায়ে জামা নেই। পেটে ভাত নেই। অপুষ্টিতে ভোগা এই শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবেশীরা। যে যেমন সাধ্যমতো সাহাস্য করেন।
শিশুদের দেখভালের জন্য হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। কাজ হয়নি।
একের পর এক প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের হাত ধরে কি অভয়, রাম, লক্ষ্মণের নতুন পথ চলা শুরু হতে পারে না? প্রশ্ন দুর্লভ পাড়ার বাসিন্দাদের।