ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করবে কোন দল এ নিয়ে উঠছিল নানা প্রশ্ন। গলসি দু’নম্বর ব্লকের সাঁকো পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৩টি। যার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৬টি, সিপিআইএম ১টি, বিজেপির ৪ টি, কংগ্রেস ১টি ও ফরওয়ার্ড ব্লক ১ টি। বোর্ড গঠন করতে লাগতো ৭ টি আসন।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে বাইরে রেখে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেস ও বিজেপি এক হয়ে বোর্ড গঠন করল। প্রধান হয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের শিখা সাঁতরা। উপপ্রধান হলেন বিজেপির সুনীল মাড্ডি।বিজেপি,সিপিএম,ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেস ৪ টি দলের জয়ী প্রার্থীরা ও কর্মী সমর্থকেরা একত্রে ফ্ল্যাগ নিয়ে মিছিল করে আসেন বোর্ড গঠন করতে। তাদের দাবি, বিজেপি, সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক ও কংগ্রেস একত্রিত হয়ে তাদের মোট সিট সংখ্যা হচ্ছে ৭ টি এবং সাঁকো পঞ্চায়েতে তারাই বোর্ড গঠন করলেন।৭ জন প্রার্থী একসঙ্গে মিছিল করে প্রবেশ করেন পঞ্চায়েত অফিসে।
আরও পড়ুন : বলুন তো মেঘ কী ভাবে হয়…? কখনও ‘ঘোড়া’, কখনও ‘ভাল্লুক’, কেমন করে নেয় আলাদা আলাদা আকার?
অপরদিকে তৃণমূলের ৬ জন জয়ী প্রার্থী ও সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আসেন পঞ্চায়েত অফিসে। তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসের দিকে যাওয়ার সময় বিরোধীদলের সমর্থকেরা স্লোগান-সাউটিং করে এগিয়ে আসতে থাকেন। তৎক্ষণাৎ ডিএসপি হেড কোয়ার্টারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং বিজেপি-সহ বিরোধী দলের সমর্থকদের ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন : গপগপ করে নাকেমুখে গুঁজে খাচ্ছেন? ঠিক ‘কতক্ষণ’ সময় নেওয়া উচিত খাবার খেতে? জানুন
তৃণমূলের দাবি, আমরা কোনও জোরজবরদস্তি করিনি, যে ভোটে জিতছে সেই প্রধান হয়েছে। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপি বাম যে একই মুদ্রার দুই পিঠ তা এই ঘটনায় প্রমাণ হল। অন্যদিকে তৃণমূল বিরোধীদের বক্তব্য, বোর্ড গঠন করতে তৃণমূল চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। সফল হতে না পেরে তারা এখন এসব কথা বলছে।