গত ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন হরিহরপাড়ার রায়পুর নিয়ামতপুরে ভোট কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সিপিআইএম প্রার্থী রাশিদা বিবির ভাসুর সিপিআইএম কর্মী রিন্টু শেখ। অভিযোগ সেইসময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে লাইন থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধর করে। তৃণমূল ও সিপিআইএম-এর সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় সিপিআইএম কর্মী রিন্টু শেখ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। কলকাতার হাসপাতালে গত ১৬ই জুলাই মৃত্যু হয় রিন্টু শেখের।
advertisement
রবিবার সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, জেলা সিপিআইএম-এর সম্পাদক জামির মোল্লা-সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা রিন্টু শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। এবং দলের পক্ষ থেকে মৃত রিন্টু শেখের ছেলে মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব ও সর্বতোভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন রিন্টু সেখের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে পথসভা করা হয় সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে। তবে রিন্টু শেখের হত্যাকারীরা এখনও অধরা। তাই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃত রিন্টু শেখের পরিবার।
স্ত্রী জান্নাতুন বিবি বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের অনেক সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু আমার স্বামীর খুনিরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। আমি চাই আমার স্বামীর খুনিদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’ সিপিআইএম প্রার্থী রাশিদা বিবি বলেন, ‘আমার ভাসুর ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোট করতে দেবে না বলে আমার ভাসুরকে লাইন থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আমরা প্রত্যেকটা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই।’
সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘ভোট লুঠ করার জন্যই আমাদের কর্মী রিন্টু শেখকে খুন করা হয়েছে। আমরা রিন্টু শেখের পরিবারের পাশে আছি। সাধারণ মানুষ চেয়েছিল এলাকার উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ন ভোট। কিন্তু শাসকদল সেটা করতে দেয়নি। পুলিশ, প্রশাসনের মদতে তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস চালিয়েছে। ভোট লুঠ করেছে। আমরা রিন্টু শেখের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাব। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।’