ইতিমধ্যেই তৃণমূল যে জেলা পরিষদগুলি দখল করেছে তার মধ্যে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগণা, বীরভূমের মমতো জেলা৷
রাজ্যে মোট ৯৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতেছিল ৯৯১টি-তে। ভোট গণনার পর দেখা যাচ্ছে সকাল ৬টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ৫৮৯৮ টি পঞ্চায়েত সমিতিতে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি ৭০৬ টিতে, বাম ১৪২টি আসনে জয়ী। অন্যদিকে কংগ্রেস ১৪৩ টি আসনে জয়ী হয়েছে। নির্দল ও অন্যান্যরা দখল করেছে ২৬৫টি আসন।
advertisement
মনোয়নপর্ব থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ভাঙড় থেকে ক্যানিং, উত্তেজনা ছড়িয়েছে সর্বত্র। সংঘর্ষের খবর এসেছে আইএসএফ ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। আর গণনা শেষেও কিন্তু উত্তপ্ত এই জেলা। পঞ্চায়েত ভোটের গণনার রাতেও উত্তপ্ত ভাঙড়। পুলিশ-আইএসএফের বোমাযুদ্ধে প্রাণ হারালেন তিন আইএসএফ কর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাঙ্গড় দু-নম্বর ব্লকের দুটি জেলা পরিষদের আসনের ফলাফল ঘোষণা এখনও বাকি আছে। আর এরই মধ্যে শুরু আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বোমার লড়াই। পুলিশের দাবি তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ফেলছে আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশ ও টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। তার পাশাপাশি রাবার বুলেট ফায়ার করছে পুলিশ। খণ্ডযুদ্ধের কারণে DCRC সেন্টারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।