মনোনায়ন পত্র দেওয়া নিয়ে বর্ধমান ২ ব্লকের বড়শুল এলাকায় সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল রবিবার থেকেই। পুলিশ কার্যত সেই পরিস্থিতি রুখতে ব্যার্থ হয়। সোমবার সকাল থেকেই বর্ধমান ২ ব্লকের ৯টা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী, প্রস্তাবকদের নিয়ে বর্ধমান ২ ব্লকের সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য কল্যাণ হাজরার নেতৃত্বে সিপিএমের কর্মীরা আসতে শুরু করলে বড়শুল আন্ডারপাশের কাছে ট্রাক্টার আকটে ইট ছুড়তে থাকে তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী।
advertisement
আরও দেখুন –
কল্যাণ হাজরা বলেন, ‘তৃণমূলের ৫০-৬০ জন লোক যখন আমাদের আটকে মারধর শুরু করেছে তখনও আমরা প্রশাসনের ওপরে আস্থা রেখেছি। ওসিকে বারবার বলেছি। কিন্তু তারপরেও ওরা আমাদের ওপরে আক্রমন চালাতে থাকে। তখন আমাদের লোকেরাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পুলিশ ওদের পুরোপুরি মদত দিয়েছে। শক্তিগড় থানার ওসি দীপক সরকার নিজে ফোন করে ডেকে এনে আমাদের লোকেদের তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।’
আরও দেখুন
চোখে চোখ রেখেই এদিন প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা। মারের বদলা মার। ইটের বদলা ইট ছুড়েছে তারাও। সিপিএমের সাত জন আহত হয়েছে। আহত তৃণমূলেরও চারজন। উভয়পক্ষের মধ্যে পড়ে আহত হয়েছে তিনজন পুলিশ কর্মী। শক্তিগড়ের ওসি দীপক সরকারের মাথা ফাটে ইটের আঘাতে। পরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ঘটনাস্থল থেকে তৃণমূলের চারজন কে আটক করে শক্তিগড় থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। এদিন কোন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেনি সিপিএমের প্রার্থীরা। পরে এখান থেকে ফিরে যাবার সময়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পালসিট স্টেশন এলাকায় অবরোধ করেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকেরা।