ধান গাছের ৫৫ দিনের মাথায় সেই জমিতে একটি বিশেষ কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছিল।তারও ৫৫ দিন পর অর্থাৎ ধান গাছের বয়স ১১০ দিন হলেও সেই জমিতে শোষক পোকার আক্রমণ ঘটেনি। স্বভাবতই ওই কীটনাশক দীর্ঘদিন কার্যকর রয়েছে ধান জমিতে। সেখানে পরিদর্শনের পর প্রদীপবাবু বলেন, "ওই কীটনাশক কার্যকর রয়েছে দীর্ঘদিন। সংস্থার চেয়ারম্যান পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত রাজু শ্রফকে আমি অনুরোধ করেছি চাষিদের খরচ, আয়, ধানের দাম, সব কিছু বিবেচনা করে কীটনাশকের দাম নির্ধারণ করতে। যাতে চাষির নাগালের মধ্যে এর দাম থাকে। তাহলে এর বহুল ব্যবহার করতে পারবেন কৃষকরা। উপকৃত হবেন চাষিভাইরা।"
advertisement
আরও পড়ুন - ডিভোর্সও নাকি গিমিক! বিয়ে ভাঙার গুজবের মধ্যে একসঙ্গে নতুন শো করবেন সানিয়া-শোয়েব!
ধানে শোষক পোকার আক্রমণে নাজেহাল পূর্ব বর্ধমানের কৃষকরা। প্রচুর টাকা খরচ করে কীটনাশক প্রয়োগ করেও সুরাহা মিলছে না। চাষিদের সমস্যা বুঝতে মাঠে নামেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী তথা রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। জেলার রায়না-২ ব্লকের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। কথা বলেন চাষিদের সঙ্গে। কম দামে কার্যকরী কীটনাশকের ব্যবস্থা যাতে কৃষি দফতর করে সেই আর্জি জানান কৃষকদের অনেকেই।
মন্ত্রীর সঙ্গে পরিদর্শনে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল সহ কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। কয়েকজন কৃষক শোষক পোকার আক্রমণ নিয়ে তাঁদের অসহায়তার কথা জানান। কিষান মাণ্ডিগুলিতে সমবায় বা কৃষি দফতরের মাধ্যমে যাতে কীটনাশক নায্যমূল্যে বিক্রি করা যায় ও সহজলভ্য করা যায় তার ব্যবস্থা করার আর্জি জানান।
কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, "শোষক পোকার আক্রমণ হলেও এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার পরিস্থিতি নেই। তবে সরকারের তরফে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে কৃষকদের। বিমা করানো থাকায় ফসলের ক্ষতি হলে চাষিরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।"
Saradindu Ghosh
