বাড়ির মালিক দিলীপ সিকদার থাকেন মেমারির দেশবন্ধুপল্লী এলাকায়। তিনি বলেন, “আমি কোনও দিনই যেতাম না। গিটার বাজিয়ে প্রার্থনা করত বলে শুনেছি। অনলাইনে ভাড়া পেয়ে যেতাম। কিন্তু তলে তলে যে তারা এইসব কাজ করছে বুঝতে পারিনি। আমি জানতাম, মা ও ছেলে থাকে। তবে এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ছ সাতজন থাকতো। এছাড়াও আসতো অচেনা অনেকেই।”
advertisement
মেমারির দিঘির পাড় এলাকায় দিলীপবাবুর একটি তিনতলা বাড়ি। তারই দু তলায় সিঁড়ি দিয়ে ওঠার মুখের ঘরেই থাকত পাকচর সন্দেহে ধৃত রাকেশ গুপ্তা ও মুকেশ রজক। মুকেশের বাড়ি পানাগড়ে। রাকেশের বাড়ি কলকাতার প্রিয়নাথ মল্লিক লেনে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঘরে থাকতো তারা। তবু এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। ছোট্ট ঘরে থাকতো সাত আট জনও। বাইরে থেকে আসতো অনেকেই। কখনও কখনও ল্যাপটপ নিয়ে বেরিয়েও যেত তারা।
এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দূরের কথা, পাশের ঘরের লোকের সঙ্গেও তারা মিশত না সেভাবে। তারা যে পাক চর তা ভেবে ওঠা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশ প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। সেইসঙ্গে বাড়ির মালিকদেরও উচিত ভাড়াটেরা কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা। নচেত এই ধরণের ঘটনা বাড়তেই থাকবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।