বৃদ্ধাকে গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করার পর জলাশয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় চারজনের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ধৃতদের নাম সুজন ওরফে বিমল হাঁসদা,সন্দীপ মুর্মু, বিনয় হাঁসদা,সেবা ওরফে শিবা হাঁসদা।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার গৌরীপুর মধ্যমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতার নাম লক্ষ্মী হেমব্রম (৭৫)। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যায় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জীর নেতৃত্বে মেমারি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
আরও পড়ুন-ভয়ঙ্কর দুঃসময়…! শুক্রের ঘরে মঙ্গল গোচর, কপাল পুড়বে ৫ রাশির, আর্থিক কষ্ট, জীবন ‘নরক’ করে ছাড়বে…
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে একাই থাকতেন লক্ষ্মী হেমব্রম।তাঁকে দেখাশোনা করতেন গ্রামেরই সনাতন কিস্কু নামে এক ব্যক্তি। কয়েকদিন আগে লক্ষ্মী হেমব্রমকে ডাইনি বলে অপবাদ দেয় গ্রামেরই কয়েকজন। তারপর শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ ফুট দূরের জলাশয় থেকে লক্ষ্মী হেমব্রমের দেহ উদ্ধার হয়। লক্ষ্মী হেমব্রমের গলা ও ঘাড়ের কাছে ধারালো অস্ত্রের কোপ আছে বলে দাবী স্থানীয়দের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জী জানিয়েছেন, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জলাশয়ের কাছে খুন করা হয়েছে।তবে ডাইনি সন্দেহে মারা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, ওই বৃদ্ধাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে এদিন সকালে মেমারি থানার পুলিশের কাছে খবর আসে। সেইমতো পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর শুরু করে। এরপর বাড়ি থেকে দুশো মিটার দূরে একটা জলাশয় থেকে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, ধৃতরা গতকাল রাতে একসঙ্গে বসে মদ্যপান করছিল। তখনই তারা ওই বৃদ্ধাকে খুনের ছক কষে। সেইমতো তারা বৃদ্ধাকে জলাশয়ের ধারে নিয়ে গিয়ে খুন করে। এরপর মৃতদেহ জলাশয়ের ঝোপে ফেলে গ্রামছাড়া হয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।