দুবরাজপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বৃদ্ধ উত্তম দত্ত ও তাঁর স্ত্রী সোনালী দত্ত । ছেলে পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর আনন্দ করে পাড়ার সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছিলেন । কিন্তু ১৩ বছর আগে ছেলের সঙ্গে মা-বাবার সম্পর্ক ছিন্ন হয় । ছেলে মিঠুন দত্ত বর্তমানে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত । বউ ও এক কন্যা নিয়ে সুখের দিন কাটছে তাঁর ৷ বৃদ্ধ দম্পতির অভিযোগ , ১৩ বছর আগে শেষ কথা হয়েছিল ছেলের সঙ্গে । তারপর থেকে আর কোনও সম্পর্কই রাখেনি ছেলে ।
advertisement
প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ উত্তম দত্ত দুবরাজপুর বাসস্ট্যান্ডে টাইম কিপারের অফিসে বসে থাকেন , দয়া করে কেউ সাহায্য করলে তাতেই দিন কাটে । ওই টাকা দিয়েই সংসার চলে । অভিযোগ লকডাউন চলাকালীন বাস বন্ধ । লক ডাউন শিথিল হয়ে বাস চলাচল শুরু হলে সব রুটের বাস চলছে না । তাই রোজগার একদম বন্ধ । একবেলা খেতে পান তো আরেক বেলা খাবার থাকে না ঘরে । দম্পতির কাছে ছেলের মোবাইল নম্বরও নেই ।
লকডাউন চলাকালীন একবার টাকা চেয়েছিলেন ছেলেরা এক বন্ধুর মোবাইল থেকে ফোন করে । কিন্তু ওপ্রান্ত থেকে কোনও সাড়া আসেনি । তাই বাধ্য হয়ে আইন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা । তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মহিলা আইনজীবী । তিনি কোনও অর্থ না নিয়েই এই আইনি লড়াই লড়ছেন । জানা গিয়েছে দুবরাজপুর আদালত থেকে নোটিশ যাবে পুলিশ ছেলের কাছে । ২১ জুলাই মামলায় হাজিরা দিতে হবে পুলিশ ছেলেকে । সেদিন এলে অন্তত বৃদ্ধ মা-বাবা চোখের দেখা দেখতে পাবেন ছেলেকে ।
Supratim Das