তবে এরপরই শুরু আসল গল্প। কেটেছে দুমাস, বৃদ্ধ ওই মহিলার ভাষা বোঝার দায় হয়ে উঠেছিল সকলের কাছে। তবে হালকা হালকা বোঝা যাচ্ছিল, যা বিহারের ভাগলপুরের কিছুটা ভাষা। তবে তবে এরপরই ঘটল এক দুর্দান্ত চমক। রবিবার একে অপরকে ফিরে পেলেন এই বৃদ্ধ দম্প তি দীর্ঘ প্রায় দুমাস পর তাদের দুজনকে মিলিয়ে দিল হ্যাম রেডিও ও সাংবাদিকেরা।
advertisement
জলে থাকে না এই ‘মাছ’! জল স্পর্শ না করেই পার হয়ে যায় মরুভূমি…একের পর এক দেশ! জানেন কোন মাছ?
জানা যায়, বিহারের ভাগলপুর থেকে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন এই বৃদ্ধ দম্পতি। তবে এরপরই তারা একে অপরকে হারিয়ে ফেলেন। ঘটনা এপ্রিল মাসের। এরপর ওই বৃদ্ধ এবং বাড়ির লোকেরা বেশ খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি। বৃদ্ধ মহিলাকে স্টেশনে কাঁদতে দেখে পুলিশ কর্মীরা তাকে ভর্তি করেন এই হোমলেস সেন্টারে। ভাষা সমস্যার কারণে তার বাড়ি কোথায় বা বৃদ্ধের পরিবার পরিজনেরা কী করেন তা জানতে অসুবিধা হচ্ছিল সকলের।
তবে এরপর আশ্রমের কর্মীরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন তার বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। তবে আর যোগাযোগের কোনও কিছুই বলতে পারছিলেন না তিনি। এরপর আশ্রমের এক কর্মী যোগাযোগ করেন মেদিনীপুরের সাংবাদিকদের সঙ্গে। সাংবাদিকরা যোগাযোগ করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সঙ্গে। এরপরেই ঘটে মুশকিল আসান। হ্যাম রেডিও তরফে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে যোগাযোগ করা হয় ওই বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে। শনিবার রাতেই বিহার থেকে রওনা দেয় পরিবারের সদস্যরা। হ্যাম রেডিওর সহযোগিতায় এবং সাংবাদিকদের তৎপরতায় ঐ বৃদ্ধাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার পরিবারের কাছে। জানে গিয়েছে এই বৃদ্ধার নাম ফুলবতি দেবী। ডাক্তার দেখাতে এসেই ভিড় ট্রেনে উঠতে গিয়ে হারিয়ে যান।
তবে প্রায় দুমাস পর, এই বৃদ্ধা ফিরে পেলেন তার স্বামীকে। হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান, কোতোয়ালি থানার পুলিশ আধিকারিক সহ সাংবাদিকেরা। একে অপরের হাত ধরে ফের রওনা দেয় বাড়ির উদ্দেশ্যে। বৃদ্ধাকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি সকলে।
রঞ্জন চন্দ