শুক্রবার সকালে করোনার টিকা নিতে বাঁকুড়ায় বড়জোড়া ব্লকের পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন রাজমাধবপুর গ্রামের গৃহবধূ মন্দিরা পাল। তাঁর ৯ মাসের সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, তাঁকে একইসঙ্গে পর পর দুটি কোভিশিল্ডের (Covishield) ডোজ দিয়ে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সিং কর্মী। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রাজমাধপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক পরিবারের গৃহবধূ মন্দিরা পাল স্থানীয় আশাকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন ৬ থেকে ১২ বছর শিশুদের মায়েদের টিকা দেওয়া হবে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। খবর পেয়ে নিজের ৯ মাসের কোলের দ্বিতীয় সন্তানকে নিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পখন্না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর আধার কার্ড দেখে নির্দিষ্ট অ্যাপে তথ্য এন্ট্রি করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর তাঁর বাম হাতে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। এরপর নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে কিছুক্ষণ বসতে বলেন। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরেই ওই স্বাস্থ্যকর্মী আবারও তাঁর বাম হাতে টিকার দ্বিতীয় একটি ইঞ্জেকশন দেন।
advertisement
গৃহবধূর দাবি, টিকার লাইনে দাঁড়িয়ে অন্যান্যদের মুখে শুনেছিলেন টিকার দুটি ইঞ্জেকশান নিতে হবে। কিন্তু তা যে নির্দিষ্ট দিন অন্তর দেওয়ার নিয়ম, তা তিনি জানতেন না। স্বাভাবিক ভাবেই তাই টিকার দ্বিতীয় ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় প্রতিবাদ জানাননি। পরে অন্যান্যদের একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে শুনে তাঁকে কেন দুটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হল তা জানতে চান স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে। মন্দিরা পালের দাবি, এ কথা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে জানতে চাওয়ায় তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরী হয়। এরপর তাঁকে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বসিয়ে রাখা হয় হাসপাতালে। পরে ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করে ছাড়া হয়। তবে বাড়ি ফিরে ফের অসস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর শনিবার সকালেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ন'মাসের শিশু সন্তান স্তন্যপান করায় শিশুর স্বাস্থ্য নিয়েও শঙ্কিত গোটা পরিবার।