তিনদিন আগেই রেললাইনের ধার থেকে স্বাস্থ্যকর্মীর দেহ উদ্ধার হয় ডেবরার শ্যামচকে এলাকা থেকে। মৃত ৩২ বছর বয়সী সুস্মিতা সামন্ত দাসের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েই মৃত্যু, নাকি রেললাইনে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অতিরিক্ত ডিউটির চাপে সুস্মিতা মানসিক কষ্টে ছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন-৪ কন্যা সন্তানকেই হারিয়েছেন সানি লিওন, শোকে পাথর নায়িকা, ফাঁস করলেন ভয়ানক যন্ত্রণার কথা…
জানা গিয়েছে, মৃত নার্স সুস্মিতার শ্বশুরবাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানা এলাকার দোনাচক গ্রামে। তিনি পাঁশকুড়া থানা এলাকার মাগুরি জগন্নাথচক সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কমিউনিটি হেলথ অফিসার (সিএইচও) ছিলেন। সম্প্রতি ছেলের পড়াশোনার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়াপুর শহরের ইন্দায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে থাকতেন। সেখান থেকে ট্রেনে পাঁশকুড়া যেতেন। স্টেশনে নেমে সেখান থেকে মোটরবাইকে পৌঁছতেন সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
আরও পড়ুন-দিঘায় ধুন্ধুমার কাণ্ড! দিন-রাত গোপনে যা চলছিল…! RPF অভিযান চালাতেই তুলকালাম, জানলে আঁতকে উঠবেন
শুক্রবার সকালেও কাজে যাওয়ার সময়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে আর তাঁকে ফোনে পাননি পরিবারের লোকজন। এর পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুস্মিতা কিছুদিন ধরে মানসি ভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল।
আড্ডা প্রিয় সুস্মিতা ইদানীং সবার সঙ্গে কথা বলাও কমিয়ে দিয়েছিলেন। সহকর্মীরা তাঁকে চোখে চোখে রাখতেন। সম্প্রতি তাঁর কর্মক্ষেত্রে চাপ বেড়েছিল। কারণ, কয়েক মাস আগে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এএনএম বদলি হয়ে যাওয়ায় সেই কাজের বাড়তি দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। যা নিয়ে তিনি ব্লক মেডিক্যাল অফিসকে লিখিত ভাবে জানিয়েও ছিলেন, তবুও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।