TRENDING:

নকল ঘি শুধু নয়, পচা মিষ্টি থেকে তৈরি হত বেবিফুড, চকোলেটও!

Last Updated:

ওই কারখানার মালিক কে বা কারা ? নকল ঘি, বেবিফুড, চকোলেট কারা কিনত ? বিস্তারিত জানতে চাইছে পুলিশ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Saradindu Ghosh
advertisement

#বর্ধমান: শুধু নকল ঘি নয়, পচা মিষ্টি ও মিষ্টির পচা রস থেকে তৈরি হতো নকল বনস্পতি তেল, বেবি ফুড, চকোলেটও । বর্ধমানের দুবরাজদিঘির নকল ঘি তৈরির কারখানায় রাতভর অভিযান চালিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই কারখানার মালিক কে বা কারা ? নকল ঘি, বেবিফুড, চকোলেট কারা কিনত ? বিস্তারিত জানতে চাইছে পুলিশ।

advertisement

মিষ্টির দোকান থেকে জলের দরে কিনে আনা হতো পচা মিষ্টি ও পচা রস। পোকা ধরে যাওয়া সেই মিষ্টি ও মিষ্টির গাদ ঢালা হতো বিশাল  ড্রামে। এরপর তাতে রাসায়নিক মিশিয়ে রেখে দেওয়া হতো আরও দেড় থেকে দুদিন। এরপর তা ফোটানো হতো বিশাল কড়াইয়ে। একদম উপরের পাতলা অংশ তুলে নিয়ে পাম তেল হিসেবে বাজারে পাঠানো হতো। ঘন অংশে এসেন্স মিশিয়ে নামি কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে টিনে ভরে খাঁটি ঘি হিসেবে বাজারে বিক্রি হত। ঘি তুলে নেওয়ার পর ড্রামের নীচে অংশের সঙ্গে মেশানো হত কোকো ও ক্য়ারামেলের এসেন্স। বাজারে বিক্রি হত বেবি ফুড, চকোলেট হিসেবে ।

advertisement

কীভাবে সকলের চোখের সামনেই চলত এই কারবার,  তা ভেবে উঠতে পারছেন না সচেতন বাসিন্দারা। তাদের প্রশ্ন, এতো বড় অপরাধ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মাসের পর মাস কীভাবে চলছিল? পুলিশ জেনেছে, স্থানীয়দের  গো খাদ্য তৈরি হবে জানিয়ে কারখানা খোলা হয়েছিল দুবরাজদিঘির মালির বাগান মাঠপাড়ায়। গো খাদ্য তৈরির নামে সেখানে চলছিল পচা মিষ্টি থেকে নকল ঘি, ভোজ্য তেল, বেবি ফুড তৈরির বেআইনি কারবার।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ওই কারখানার কোনও অনুমতি ছিল কি না ? থাকলে কী অনুমতি ছিল ? কে দিয়েছিল অনুমতি ? তাও বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা খাদ্য দফতরের কোনও অনুমোদন ছিল কি না ? অনুমতি থাকলে নিয়মিত পরিদর্শন চলতো কি না,  তা নিয়েও খোঁজ চালাচ্ছে প্রশাসন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নকল ঘি শুধু নয়, পচা মিষ্টি থেকে তৈরি হত বেবিফুড, চকোলেটও!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল