যে কাজ আর পাঁচজন ভাবেই না, তা তিনি করে দেখান সাত সকালেই। মন্দির থেকে হাসপাতাল, বাজার থেকে শ্মশান সকাল হলে ঝাঁট দেন তিনি। এটাই প্রায় প্রতিদিনের সকালের রুটিন। দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে এই কাজ করেই যেন মানসিক শান্তি পান এক ব্যক্তি। তিনি কোনও সরকারিভাবে নিযুক্ত ব্যক্তি নন, নেই বেসরকারি লাভও।
advertisement
নিজে থেকেই এবং নিজের খরচেই করেন এই কাজ। বিনিময়ে পান মানসিক শান্তি। লোকে কটুক্তির সুরে পাগল বললেও এই পাগলের পাগলামিতে অন্তত পরিষ্কার থাকে বাজার থেকে শ্মশান, হাসপাতাল। সামান্য ছিপছিপে চেহারা। রোজগার বলতে সামান্য একটি দোকান। তবে বরাবরই তার ভাবনা পরিবেশকেন্দ্রিক।
করোনার সময় কখনও রেশন দোকান আবার কখনও ওষুধ দোকানের সামনে গিয়ে নিজের খরচেই চুন দিয়ে দাগ কেটেছেন। আবার কখনও রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা এড়াতে কবিতা লিখে করেছেন মানুষকে সচেতন। তবে প্রতিদিনের সকালের রুটিন বিভিন্ন জায়গায় ঝাঁট দেওয়া। বিনিময়ে এর থেকে লাভ শূন্য। অথচ নিজের গাঁটের কড়ি দিয়েই করেন এই কাজ। শুনতে হয় পাগল আখ্যা। আর তাতে যেন পরোয়া করেন না তিনি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার মোগলমারী এলাকার বাসিন্দা পেশায় সামান্য ব্যবসায়ী প্রশান্ত চন্দ। বাড়িতে স্ত্রী এবং এক ছেলেকে নিয়ে সংসার। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই করেন এই কাজ। এতে নাকি মানসিক শান্তি পান তিনি। ঝাঁটা, কোদাল, চুন হাতে নিয়ে চলে আসেন স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিংবা শ্মশানে। কাউকে কিছু না বলেই শুরু করে দেন তার পরিষ্কারের কাজ। সবাই হয়ত ঘুম থেকে ওঠার আগে পরিষ্কার করে তিনি চলে যান নিজের বাড়ি।
আরও পড়ুন- মাঠ ভর্তি পাকা ধানে, কাটতে যেতে ভয় পাচ্ছেন কৃষকরা! শিয়ালের আতঙ্কে জেরবার বর্ধমান
বেশ কয়েকবার মিলেছে কটুক্তি, তবে সাধারণ মানুষের জন্য পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য প্রশান্ত বাবু করেন এই পরিষ্কারের কাজ।
তিনি আদ্যোপান্ত এক সুস্থ, সবল মানুষ। ছোট দোকান চালিয়ে রোজগার করেন। তবে তার ভাবনা বরাবর পরিবেশ সচেতনতার। তার পাগলামিতে পরিবেশ পরিষ্কার থাকে পরিছন্ন থাকে বিভিন্ন ব্যস্ততম জায়গা। আর এতেই মানসিক শান্তি পান তিনি।





