পৌলমী পরিবহনের প্রতিনিধি বিকাশ সিং জানান, "বাসের ভাড়া একটু ওঠা নামা করে। চাহিদা বেশি তাই ভাড়াও বেড়েছে। তেলের যা দাম তাতে ভাড়া বাড়াতেই হত এবং সেই বাড়তি ভাড়া দুই পিঠেই বাড়ানো হয়েছে।" গ্রিন লাইনের পিঙ্কু দাস বলেন, "আমাদের সব বাসের টিকিটই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। এখানে কারচুপির কোনও বিষয় নেই। ভাড়া বেড়েছে। তেলের দাম বেড়েছে। ভাড়া না বাড়ালে কী করে পোষাবে।" কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি বাস ভাড়া বেড়েছে হাজার টাকারও ওপরে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই ভাড়া হাজার টাকার মধ্যে থাকলেও এই সময় তা বেড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে সেটা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা হয়েছে। আর এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ৩ জুন, কখন জানা যাবে ওয়েবসাইটে? দেখুন...
কর্মসূত্রে কলকাতা থাকলেও মাসে একবার বাড়িতে যান শিলিগুড়ির বাসিন্দা তপন রায়। তিনি বলেন, "জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। রোজগার বাড়ছে না। মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মতো যদি এই রকম ভাবে ভাড়া বেড়ে যায় তাহলে আমরা যাই কোথায়। বাড়ি যাতায়াতে বাড়তি প্রায় তিন হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে।" শিলিগুড়ির আরেক বাসিন্দা পুনম কুমারী বলেন, "যাত্রী ভাড়া বেড়েছে তো একটা বিষয়। তার সঙ্গে বেড়েছে সঙ্গে পণ্য পরিবহনের খরচ। একটা ছোট বাক্স নিয়ে যাবো যার ওজনও বেশি নয় সেটার জন্য তিনশো টাকা চাইছে।"
মালদহের যাত্রী তপতী সাহুর অভিযোগ, "পুরো পরিবার মিলে মালদহ যাচ্ছি। এখানে এসে শুনি ভাড়া বেশি দিতে হবে। সবার জন্য সেটা গুনতে গিয়ে দেখি আমাদের বাজেটের ছাড়িয়ে অনেকটাই বেশি। এসে পড়েছি যখন সেটা দিয়েই যেতে হবে। কিছু করার নেই।" গোপা সাহুর বক্তব্য, "ভাড়া বাড়ানোর আগে যদি বাস কোম্পানিগুলো জানিয়ে দেয় তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়। একে তো ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। তার ওপর যদি হঠাৎ করে এই রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অসুবিধা হয়ে যায়।"
UJJAL ROY