স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মৃত গৃহবধূর নাম মিঠু দত্ত (৪২)। মিঠু দত্তের স্বামী দিলীপ দত্ত প্রায় ১২ বছর ধরে নিখোঁজ। প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে দেওর প্রদীপ দত্তের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মিঠু। কাকার সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক নিয়ে দুই ছেলের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত বাড়িতে।
advertisement
গতকাল থেকে মিঠুদেবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার মিঠুদেবীর ঘরের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। খাটের নিচে উঁকি দিতে দেখা যায় রক্তমাখা দেহ। শরীরে রয়েছে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা শ্বাসরোধ করে মিঠুদেবীকে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে আসল সত্য।
আরও পড়ুনঃ খেলতে খেলতে সাংঘাতিক কাণ্ড! লোহার গেট ভেঙে পড়ে থেঁতলে গেল একরত্তি, মুহূর্তে সব শেষ
সূত্র মারফত জানা যায়, বিগত বেশ কয়েক বছর আগে দাদা দিলীপ দত্ত নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে মুম্বই থেকে দেওয়র প্রদীপ দত্ত নিজের স্ত্রী, সন্তানদের রেখে গোবরডাঙ্গার বাড়িতে আসেন। তারপরে আর তিনি মুম্বইয়ে ফেরেননি। বৌদির সঙ্গে গড়ে ওঠে একটি গোপন সম্পর্ক। মিঠুদেবীর দুই ছেলে বড় হওয়ার পরে এই সম্পর্ক নিয়ে মাঝে মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকতো বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৌদিকে খুনের পিছনে হাত রয়েছে দেওরের। গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। তদন্তের স্বার্থে দেওর প্রদীপ দত্ত-সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়েছে।