নাটকের নির্দেশক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়- নাট্যজগতের কাছে যিনি ‘ম্যাজিশিয়ান’ নামে পরিচিত- দুই ঘণ্টার নাটককে নিখুঁতভাবে সাজিয়েছেন। অনুজয়, কৌশিক চট্টোপাধ্যায় এবং বর্ণালী চট্টোপাধ্যায়ের তীক্ষ্ণ ও প্রাণবন্ত অভিনয় দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আবহসঙ্গীতে উজান চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্টি নাটকের আবহকে আরও গভীর ও প্রভাবশালী করে তোলে।
আরও পড়ুন: বিয়েবাড়ি বলে কথা! অনুষ্ঠান করতে হুগলিতে সবুজ নিধন, রেগে লাল স্থানীয়রা! ভাবাচ্ছে বন দফতরকেও
advertisement
‘শান্তিপুর সাংস্কৃতিক’ নাট্য সংস্থার এই প্রযোজনাটি ঐতিহাসিকভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মনমথ রায়ের লেখা কারাগার নাটকটি তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনব্যবস্থার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা হয়ে উঠেছিল। পুরাণের কংসের অত্যাচারের গল্পের মধ্য দিয়েই তিনি তুলে ধরেছিলেন ইংরেজদের প্রকৃত নিষ্ঠুরতা। এই কারণেই ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ সরকার নাটকটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। নাট্য পরিচালক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় মনে করেন, বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতিতে যখন একনায়কতন্ত্রের ছায়া ফের ঘনিয়ে আসছে, তখন কারাগার নাটকটি আরও প্রাসঙ্গিক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইতিহাসের সেই প্রতিবাদ আজও সমান শক্তিশালী। অশোকনগর নাট্যৎসবে এই নাটক দেখার সুযোগ পেয়ে, নাট্য প্রেমীদের মধ্যেও দেখা গেছে আলাদা উন্মাদনা। এর মধ্যে দিয়েই নাট্য উৎসব শুধু এক নাট্য সন্ধ্যা নয়, হয়ে উঠেছিল ইতিহাস, প্রতিবাদ ও শিল্পের এক অনন্য সমন্বয়।





