ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি রানার অমোঘটান। পরিবারের আর্থিক তাড়নায় পেশা বাছতে ভিন্ন পথেই হাঁটতে হয়েছে রানাকে। তবে পেশার পাশাপাশি নেশাকে ভুলে যাননি তিনি। ছোট থেকে বড় সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়েই রানা নাচের আকাদেমি, ডিউটির পরে সেখানে বাচ্চাদের নাচ শেখান। ছোটবেলা থেকেই ভাল নাচতে পারতেন রানা। রয়েছে প্রথাগত তালিমও। রানার নাচের আকাদেমিতে ছোট থেকে বড়, সবাই নাচ শিখতে পারেন।
advertisement
বাংলার সংস্কৃতিকে ধরে রাখতেই রানার এই পথ চলা। ডিউটি সমালে এসে ইউনিফর্ম খুলে রেখে রানা সম্পূর্ণভাবে ভুলে যান তিনি একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তখন তিনি কেবল একজন নাচের সাধক। নাচই তাঁর সাধনা। তবে এই বিষয়ে থানাও তাকে অনেক সাহায্য করে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে দেওয়া একটি ভিডিওতে এমনটাই জানিয়েছেন রানা।
চকচকে ক্লাসরুম, খুদে থেকে বড় ছাত্রছাত্রীরা রানার থেকে শিখছেন নাচ। শুধু নাচ হয়। স্যারের থেকে ডিসিপ্লিনড জীবনযাপনও শিখছেন ছাত্রছাত্রীরা। রানার শুরুটা ছোট একটা উদ্যােগ থেকে শুরু হলেও এখন তাঁর ব্যপ্তি বড় হয়েছে। বহু ছাত্রছাত্রী রানার আকাদেমিতে আসতে চান, নাচ শিখতে চান।
ব্যারাকপুরে এর আগে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার দরিদ্রদের জন্যে দোকান বানিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন। যেখানে ৫ টাকা থেকেই জমাকাপড় পাওয়া যায়। সেই সময় এই বিষয়টা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সমাজমাধ্যমে।