নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। বামেদের সঙ্গে নির্বাচনী আঁতাত না থাকলেও, নিজেদের আসন ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। নোয়াপাড়া দিয়ে রাজ্যে আসন বাড়াতে চায় তৃণমূল। অন্যদিকে, তাদের প্রার্থীই ভোটে ফ্যাক্টর। দাবি বিজেপির।
উত্তর চব্বিশ পরগনার শিল্পশহর নোয়াপাড়ায় এবার চতুর্মুখি লড়াই। তবে মূল লড়াই কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কংগ্রেসের মধুসূদন ঘোষ। তিনি মারা যাওয়ায়, সেই আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে।
advertisement
এক নজরে নোয়াপাড়া
-মোট ভোটার সংখ্যা-২লক্ষ ৪৬হাজার ৫২২
-পুরুষ ভোটার-১লক্ষ ২৪হাজার ৫৬৩
-মহিলা ভোটার-১লক্ষ ২১হাজার ৯৫৫
নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে চারটি পুরসভা ও দু’টি পঞ্চায়েত রয়েছে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মঞ্জু বসুকে এক হাজারের সামান্য বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন মধুসূদন ঘোষ। তিনি পেয়েছিলেন
মধুসূদন ঘোষ (কংগ্রেস)-৭৯৫৪৮ টি ভোট
মঞ্জু বসু (তৃণমূল কংগ্রেস)-৭৮৪৫৩টি ভোট
অমিয় সরকার(বিজেপি)-২৩৫৭৯
এবার আর জোট নয়, একাই লড়তে হচ্ছে কংগ্রেসকে। যদিও চিন্তায় নেই হাত শিবির। প্রয়াত বিধায়ককে শ্রদ্ধা জানাতেই মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দেবে বলে দাবি প্রার্থীর।
অন্যদিকে, নির্বাচনী লড়াই নামার আগেই প্রার্থী বাছাইয়ে একপ্রস্থ মুখ পুড়িয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মঞ্জু বসুকে প্রার্থী করেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে। দলের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়ে শেষমেশ নিজের ঘাড়ে দায় নিতে বাধ্য হন মুকুল রায়।
প্রার্থী বদলের পর এবার লড়াইয়ে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে শাসকদলের দাবি, উন্নয়নের নিরিখেই এবার ভোট হচ্ছে।
শেষ হাসি কে হাসবে তার উত্তর জানা যাবে পয়লা ফেব্রুয়ারি। তার আগে অভিযোগ, দাবি পালটা দাবিতে ভোটের ময়দানে সরগরম নোয়াপাড়া।