জীব বৈচিত্রের জন্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এই বাস্তুতন্ত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুকুর বা জলাশয়। এবার পুকুর ও জলাশয় ভরাট রুখতে আসরে নামল পৌর প্রশাসন। তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকায় বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে পুকুর ও জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে অভিযান চালান শুরু হয়েছে। পুকুর ভরাট রুখতে তমলুক শহরে পোস্টার লাগাতে পথে নামল স্বয়ং পৌর প্রশাসনের চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন তমলুক শহরে শেষ কয়েক বছর ধরে যথেচ্ছ ভাবে বেড়েছে কংক্রিটের জঙ্গল। পুকুর ও জলাশয় ভরিয়ে গড়ে উঠেছে হাই রাইজ বিল্ডিং! আর তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাস্তুতন্ত্রে।
advertisement
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার তমলুক শহরে বিভিন্ন পুকুর ভরাট করার অভিযোগ আসছিল। দিনের পর দিন পুকুর বা জলাশয়ে নোংরা ফেলে ফেলে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় করে রাখার পর মাটি ফেলে ভরাট করে তা বিক্রি করে দেওয়া হত। রাজ্য সরকারের নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর হয়, জেলাশাসকের নির্দেশে তাম্রলিপ্ত পৌরসভা এলাকায় বিভিন্ন অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পুকুরের পাশে পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয় পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পোস্টারে পুকুর ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ করা বিষয়ে সাবধান করা হয়েছে পৌরবাসীকে।
বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় পুকুর বা জলাশয় ভরাট রক্ষার অভিযানে তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ উপ পৌর প্রধান এবং ও উপ পৌর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পৌর প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি তাম্রলিপ্ত পৌরসভার বাসিন্দারা। ওর সবার বাসিন্দারা চান পুকুর থাকুক। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের যেমন সাঁতার কাটতে সুবিধা হবে তেমনইবৃষ্টির সময় বিভিন্ন জায়গায় জল না জমে, ওই পুকুরে চলে যাবে। পৌরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে শহরবাসীরা।
সৈকত শী