নীলগাই এমনিতে সুন্দর, তবে দেখতে অনেকটা বিদঘুটে চেহারার ঘোড়ার মত। দেহের পেছনের দিক কাঁধ থেকে নীচু। কারণ সামনের পা পেছনের পা থেকে লম্বা। ঘাড়ে বন্য শূকরের কেশরের মত ঘন লোম থাকে। পুরুষ নীলগাইয়ের গায়ের রং গাঢ় ধূসর, প্রায় কালচে রঙের। অনেক সময় গায়ে নীলচে আভা দেখা যায় বলে এদের নীলগাই নামকরণ।
advertisement
আরও পড়ুন: দেখতে অনেকটা…! বলুন তো এগুলো কি! অনেকেই পরেন, অধিকাংশটাই তৈরি হয় বাঁকুড়ায়
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের কাল্লাপুর, শুয়াড়া, খাটা ও রামহরিপুরের জঙ্গল একে অপরের সঙ্গে জঙ্গলপথে সংযুক্ত। এই জঙ্গলগুলিতে বছরের বেশিরভাগ সময় হাতির উৎপাত লেগে থাকলেও এলাকার মানুষ কখনও নীলগাই দেখেননি। হঠাই গত দুদিন ধরে জঙ্গলগুলিতে অনেকটা হরিণের মত দেখতে প্রাণীকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। কেউ কেউ দাবি করেন একটি নয়, একসঙ্গে একাধিক এই ধরনের প্রাণীকে তাঁরা কাল্লাপুরের জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়দের দাবিপ্রাণীগুলি হরিণের মত অনেকটা দেখতে হলেও আসলে সেগুলি নীলগাই। খবর যায় বন দফতরে। প্রাণীগুলিকে শনাক্ত করতে তৎপর হয় বন দফতর। পাশাপাশি সেগুলির সুরক্ষার জন্য জঙ্গলগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়। বৃদ্ধি করা হয় নজরদারিও। স্থানীয় গ্রামবাসীদের মোবাইলে তোলা ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে বন দফতরের ধারণা প্রাণীগুলি নীলগাই হওয়ার সম্ভাবনাই সবথেকে প্রবল। কিন্তু সেগুলি কীভাবে ওই জঙ্গলে এল তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





