বৃদ্ধার পরিচারিকা মাধুমিতা হালদার প্রতিদিনের মতো ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ করেন। এরপর পুলিশ এসে দেখতে পায়, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বিজয়া দেবী। তাঁর স্বামী প্রসান্ত দাসকে ঘরের মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দ্রুত বিজয়া দেবীকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
২৫০ কোটির প্রাসাদ! গুঁড়িয়ে দিল বুলডোজার… ধংসস্তূপে মিলল ‘গভীর জলের মাছ’! কে জানেন?
রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ২২ অগাস্ট থেকে চালু হচ্ছে নতুন লোকাল ট্রেন! কোন রুটে দেখে নিন
ফরেনসিক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বাড়ির পেছনের গেট খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার ছেলে অন্য শহরে থাকেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার ভোরেই দু’জনকে আটক করে। পরে জেরার সময় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম—
- আশালতা সরদার (৩৬), স্বামী হেমন্ত সরদার, মেহেরপুর, থানা ধলহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয় নারেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত জলট্যাংকের ভাড়া বাড়ি থেকে শনিবার সকাল ৮টা ০৫ মিনিটে।
- মহম্মদ জালাল মীর (৪১), পিতা প্রয়াত ফকির মীর, গ্রাম উত্তর দুর্গাপুর, পোষ্ট ভজনা রামচন্দ্রনগর, থানা ধলহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে শনিবার রাত ১টা ৪০ মিনিটে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চুরির উদ্দেশ্যেই খুন হতে পারে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।