দিঘার সৌন্দর্যায়নের ওপর বারবার জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও কেনও এই অবহেলা? উঠছে প্রশ্ন।
সমুদ্র তীরে দাঁড়িয়ে সামনে দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি। পিছনে ঝাউবনের শিতল ছায়া। কিন্তু ঝাউবনের ভিতর কিছুটা গেলেই আঁতকে ওঠার যোগার। যে দিকে চোখ যায় শুধুই আবর্জনা। জঞ্জালের স্তুপে চড়ে বেরাচ্ছে গরু, ছাগল, কুকুর। মাঝে মধ্যেই নোংরা ফেলে যাচ্ছে আবর্জনা ভরতি ট্রাক। নিউ দিঘা এবং উদয়পুর বিচ থেকে মাত্র ২০০ মিটার দুরত্বে ঝাউবনে ঢুকলেই ধরা দেবে এই ছবি। দিঘার সমস্ত হোটেল, রাস্তাঘাট থেকে হাসপাতাল। সব জায়গার জঞ্জাল একেবারে পরিকল্পনাহীনভাবেই ঝাউবনের ভিতর ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
advertisement
জঞ্জালের স্তুপের পাশ দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। এই রাস্তা দিয়েই বিচে যেতে হয় পর্যটকদের। একই রাস্তা যায় সায়েন্স সেন্টারের দিকে। কিন্তু দুর্গন্ধের কারণে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। নাকে রুমাল চাপা দিয়েও যাতায়াত করতে পারছেন না পর্যটকরা।
শহর ছেড়ে দূরে কোথাও আবর্জনা না ফেলে সমুদ্র সৈকত লাগোয়া ঝাইবনে কেন ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পর্যটক এবং স্থানীয়রা। এই নিয়ে জেলা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
আবর্জনার গন্ধে অনেকেই এলাকা থেকে দোকান তুলে দিয়েছেন। ঘুরতে এসে ক্ষোভপ্রকাশ করছেন পর্যটকরাও। দ্রুত সমস্যা সমাধান না হলে দিঘার পরিবেশ তো বটেই পর্যটনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।