জানা গিয়েছে, সোমা বনিক নামে এই গৃহবধূর সঙ্গে প্রথমে সুসম্পর্ক তৈরি করে একই এলাকার বাসিন্দা প্রতিবেশী আলোকা কুন্ডু এবং তার মেয়ে পূজা কুন্ডু। এরপরেই হঠাৎ একদিন বিয়ে বাড়িতে যাবেন বলে প্রথমে সোমার কাছে সিটি গোল্ডের কিছু গহনা চায় আলোকা কুন্ডু এবং তার মেয়ে পূজা কুন্ডু। কিন্তু সোমা দেবীর কাছে সিটি গোল্ডের কোন গহনা না থাকায় পরবর্তীতে তার কাছে সোনার গহনা চাওয়া হয়।
advertisement
ভাল সম্পর্ক তাই আর সোমা দেবী মুখের উপর না করতে পারেননি। সেই মতো সোনার তিনটে চেইন, তিন জোড়া কানের দুল এবং বেশ কয়েকটি আংটি-সহ প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে ঘরের তালা বন্ধ করে চম্পট দেয় মা-মেয়ে। এরপরে সোমদেবী গোটা বিষয়টি ঘরের অন্যান্য সদস্যদের কাছে জানায়। এরপরে হঠাৎ একদিন জানা যায় কৃষ্ণনগরের একটি জায়গায় অভিযুক্ত এই মা-মেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
সেই মতো সোমা দেবীর পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে জানতে পারেন এই সোনার গহনা একটি দোকানে বন্ধক দিয়ে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা নিয়েছে মা-মেয়ে। সোমার পরিবারের পক্ষ থেকে ওই সোনার গহনা ফেরত চাওয়ার পরেই শুরু হয় মা-মেয়ের টালবাহানা। কখনও দেওয়া হয় জাল চেক কখনও আবার ৫০ হাজার টাকা যাওয়া হয় গহনা ছাড়ানোর জন্য। শেষমেশ অশোকনগর থানার দ্বারস্থ হয় সোমা দেবীর পরিবার। পরবর্তীতে অশোকনগর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে দমদম এলাকা থেকে মা অলকা কুন্ডু এবং মেয়ে পূজা কুন্ডুকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় সমস্ত সোনার গহনা। পুলিশের ভূমিকায় ভীষণ খুশি সোমা।