জেলা শাসক পার্থ ঘোষ জানান, লকডাউন এবং কোরোনা ভাইরাস নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সব জায়গাতেই সচেতনতামূলক প্রচার করছে। কিন্তু আমফানের পর কি অবস্থা সেই নয়াচরের? ঠিকঠাক জানেন না প্রশাসনিক কর্তারা। আসলে চারিদিক নদী ঘেরা নয়াচরের সঙ্গে সব রকম যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমফানের পর আজই অবশ্য প্রথম নয়াচরে এসেছেন হলদিয়া পুলিশের টিম। তাঁরা সঙ্গে এনেছেন ত্রান সামগ্রী। এর আগে করোনা লকডাউনের কারণে সমস্যায় পড়া নয়াচরের মানুষদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে বেশ কয়েকবার নদী পেরিয়ে নয়াচরে এসেছেন হলদিয়া থানার আই সি কুদরতি খোদা। আজ আমফান পরবর্তী সময়ে সেই পুলিশের উদ্যোগেই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছলো নয়াচরে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক কম বলেই বলছেন নয়াচরের দুর্গত মানুষজন। আসলে নয়াচরে যেখানে বহু মৎস্যজীবীর বসবাস, সেখানে পুলিশের আনা ত্রাণ সামগ্রী তুলনায় অনেক কম বলেই জানাচ্ছেন নয়াচরের বাসিন্দারা। হলদিয়া ব্লক সুত্রে খবর , নয়াচরের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ।
advertisement
সেখানে কি পরিস্থিতি কিংবা কত মানুষ আছেন তা বলা শক্ত । মৎস্য দফতর সুত্রে যা খবর, তাতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ৩২টি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন এই নয়াচরে, যার ভৌগোলিক আয়তন হলদিয়ার চেয়ে বড় । হলদিয়ার পাশের ব্লক নন্দীগ্রামের বহু মানুষ মাছ চাষের সূত্রে ভেড়ি করে নয়াচরে থাকেন। নন্দীগ্রামের মানুষ, পুর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাপতি স্রক সুফিয়ান জানান, নয়াচরে থেকে বহু মানুষ আমাদের সাহায্য চেয়ে ফোন করছেন। আমরা কিছু চাল – ডাল – সহ সাবান ও জীবাণু নাশক পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। এই মুহূর্তে কত মানুষ আছেন সেখানে? সুফিয়ান বলেন , নয়াচরে যেতে না পারলে বলা সম্ভব হবে না। তাঁর কথায়, অনুমান করে বলা শক্ত। নয়াচরে ভেড়ি রয়েছে মদন দাসের। মদন জানান , কয়েক হাজার মানুষ বিভিন্ন চড়ায় রয়েছেন। করোনার ধাক্কার মধ্যে আমফান তান্ডব, আমরা নয়াচরের গরীব মানুষরা কে কেমন আছি, তা বলতে পারবো না। খুব কষ্টেই আছি। ভিক্ষা করারও এখানে সুযোগ নেই!