দলের রাজ্য কমিটির অভিযোগ ও একই সঙ্গে প্রশ্ন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্বে নন্দীগ্রামের উন্নয়ন থমকে আছে। অথচ নন্দীগ্রাম গণহত্যাকে অন্যতম ইস্যু করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই গণহত্যা কারা চালিয়েছিল ও সেই হত্যাকারীদের শাস্তি আজও কেন হল না? তার জবাবদিহি তৃণমূল সুপ্রিমোকে দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ খাবার কী জানেন? রিপোর্টে দাবি, সেটি রয়েছে প্রত্যেক ভারতীয়ের রান্নাঘরে
advertisement
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ডে এক জনসভায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর সভার পরেই আইএসএফ নেতৃত্ব এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে বিজেপিরও তুমুল সমালোচনা করে বলেন, ‘বিজেপিও রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য নন্দীগ্রামকে ব্যবহার করেছে।’ তিনি নন্দীগ্রামের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরেন। স্থানীয় সাংসদের দিকে প্রশ্নের আঙুল তুলে ওই বার্তায় লেখা হয়, নন্দীগ্রামকে এখনও কেন ভারতীয় রেল মানচিত্রে যুক্ত করা হল না, সেজন্য এলাকার সাংসদ লোকসভায় কতবার দাবি তুলেছেন? এছাড়া রাজ্য সরকারও এ বিষয়ে উদাসীন, তারা কেন্দ্রকে লিখিতভাবে দাবি জানাক।
আরও পড়ুন: খেজুরের নামে চিনা জুজুবি ফল খাচ্ছেন না তো? কীভাবে বুঝবেন? আসল খেজুর চেনার উপায় জানুন
শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কেউই এখানকার উন্নয়নের দিকে নজর দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ আইএসএফের। পাশাপাশি, নন্দীগ্রামের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ দর্জি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাদের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। এখানকার রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ, ফেরিঘাট নির্মাণ এখনও হয়নি। স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাও ভাল নেই। নামেই মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু শুধু নীল-সাদা রং লাগিয়ে যে উন্নয়ন হয় না তা নিয়েও কটাক্ষ করা হয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রেস বার্তায়। এরই সঙ্গে নন্দীগ্রামকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি রাজনীতি করছে বলেও কড়া সমালোচনা করে।
আইএসএফের তরফে জারি করা প্রেস বিবৃতিতে এও উল্লেখ করা হয় যে, সিএএ-এনআরসি’র ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট আদায় করছেন, অথচ তিনিই সংসদে দাঁড়িয়ে এক সময় এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এই দ্বিচারিতা নিন্দনীয়।’ নন্দীগ্রাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বিষয়েও সমালোচনা করে বলা হয়,’ নন্দীগ্রামে এখনও পর্যন্ত আইটিআই কলেজ কেন স্থাপন করা হল না? অবিলম্বে নন্দীগ্রামে আইটিআই কলেজ স্থাপনের দাবি জানিয়েছে আইএসএফ।
আইএসএফ- এর তরফে নন্দীগ্রাম ইস্যুতে রীতিমতো প্রেস বিবৃতি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের কথায়, ‘চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদেরকে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইছে নওশাদ সিদ্দিকীর দল। মূলত সংখ্যালঘু মানুষদের মন পেতেই আইএসএফের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন।’ তবে লোকসভা ভোটের অঙ্কে এর সুফল কে পায় তার উত্তর দেবে অবশ্য সময়ই।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী