তৃণমূল এমনই সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে রেখেছিল যে, বিধায়ক নির্বাচিত হয়েও আমি বেশ কয়েকমাস ভাঙড়ে ঢুকতে পারিনি। দু'দিন আগে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের নেতৃস্থানীয় কর্মী তাজউদ্দীন মল্লিককে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। আমরা তার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি'। নওসাদ এও বলেন,' ন'জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস ফাইল করা হয়েছে, তার মধ্যে সাতজনই আইএসএফের কর্মী। এর মধ্যে হাজি এবাদত সাঁপুই গত ৭ তারিখ থেকে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও কেস ফাইল করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : ২ বিচারপতির ২ রায়! সুপ্রিম কোর্টে হিজাব মামলায় নাটকীয় মোড়! উচ্চতর বেঞ্চে মামলা
গত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের নেতা মহম্মদ সেলিমকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত সাবধান বার্তা দিয়ে নওসাদ উল্লেখ করেন, এই গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাঙড়কে 'সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর' বলে অভিহিত করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। উনি বলতে পারতেন, শাসকদলের লোকেরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। কিন্তু সমগ্র ভাঙড়কে এইভাবে দেগে দেওয়া আমরা মানতে পারি না। মহম্মদ সেলিম সাহেবকে অনুরোধ করব, ভবিষ্যতে এধরণের মন্তব্য থেকে তিনি যেন বিরত থাকেন।
প্রকৃতপক্ষে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস জনসাধারণের কাছে তার সমর্থন সম্পন্নভাবে হারিয়েছে তাই কখনও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে নিজেদের প্রভাব টিকিয়ে রাখতে চাইছে তাতেও না পেরে পুলিশকে দলকর্মী হিসেবে ব্যবহার করে বিরোধী দল বিশেষত আইএসএফ কর্মীদের উপর নির্মম যুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন যদি শাসকদলের ইঙ্গিতে কাজ করা বন্ধ না করে তাহলে আইএসএফ সাধারণ মানুষকে সামনে রেখে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে'।
কয়েকদিন আগেও নিজের ফেসবুক পোস্টে শাসক দলের বিরুদ্ধে 'শিল্প শত্রু'র অভিযোগও সামনে আনেন নওসাদ সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভাঙড়ের বুকে শিক্ষা সংস্কৃতি এবং শিল্প বিপ্লব ঘটানোর স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে এসে ছিলাম। ভাঙড়ের সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে কঠিন পরিস্থিতি, কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ভাঙড়কে একটি জায়গায় দাঁড় করানোর মরিয়া চেষ্টা বরাবরই করে চলেছি। যদিও ভাঙড়ের মাটিকে বারবার কলুষিত করছে আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদের মতো শাসকদলের একশ্রেণীর নেতারা।"
"যে শাসক দলের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শিল্প আনতে কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয়ে শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেই দলেরই বাহুবলি নেতারা শিল্প তাড়াতে সিদ্ধহস্ত। গোটা রাজ্য যখন উৎসবের আমেজ সেই সময় ভাঙড়ের বুকে একটি নামী কোম্পানির জুতোর কারখানার গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম-সহ তার দলবল। যার ফলে পুজোয় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এক থেকে দেড় হাজার শ্রমিক। রাজ্য তথা 'আমার' ভাঙড়ে শিল্পের উপরে শাসকের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ শিল্পপতি থেকে শ্রমিকরা। এমনকি পুলিশ প্রশাসনও শাসকের চোখরাঙ্গানিতে ভীত সন্ত্রস্ত বলে খবর পেয়েছি। ভাঙড় থানার পুলিশ পর্যন্ত সেই কারখানার আশেপাশে ঘেঁষতে পারছে না। এটা কোন বাংলা'? এই প্রশ্নও তোলেন বিধায়ক নওসাদ।