দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে নেহরু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা। প্রশাসনিক সভার মঞ্চে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এ ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং আরও দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী ও শান্তনু ঠাকুর। প্রশাসনিক সভা সেরে দুর্গাপুরেই রাজনৈতিক সভা মোদির।
advertisement
তবে, মোদি দুর্গাপুরের সভাস্থলে পৌঁছনোর ঠিক আগেই দুর্গাপুরের সভাস্থলে আগুন লেগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দর্শকাসনের মাঝে ডান পাশের একটা হ্যাঙারের নীচে আগুন লাগে বলে খবর। অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর সভা, সেই কারণে মাঠের নিরাপত্তা ছিল অত্যন্ত কড়া। আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা মাত্রই তড়িঘড়ি তৎপর হন দমকলের আধিকারিকরা। দ্রুত আগুন নেভানো হয়।
দুর্গাপুরে আসার আগে শুক্রবার বিহারেও সভা করেন মোদি। সেখানে প্রশাসনিক সভা করেছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ”বিহারের মাটি থেকেই অপারেশন সিঁদুরের সংকল্প নিয়েছিলাম। আজ গোটা বিশ্ব দেখল তার সাফল্য।” বিহারে তাঁর নিশানায় ছিল লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট। দুর্গাপুর থেকে তিনি যে তৃণমূলকেই আক্রমণ শানাবেন, তা বলাই বাহুল্য।
এ রাজ্যে রেলের কাজ নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘শীঘ্র আরও বিস্তার হবে কলকাতা মেট্রোর। বদলাচ্ছে এখনকার রেলস্টেশনও।’ রাজ্যের জন্য গ্যাস পাইপলাইন, রেল-সহ সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।