উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরের বাসিন্দা ৬১ বছরের সন্দীপ সরকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। হাসপাতালে বেডে বাবা কে সাক্ষী রেখে আংটি বদল হল দিউতিমা ও সুদীপ্ত-র। তিথি নক্ষত্র দেখে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার চার হাত এক হবে দিউতিমা-সুদীপ্তর।
দিউতিমা-সুদীপ্তর আইনি বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে আজ সরগরম হাওড়ার এই বেসরকারি হাসপাতাল। সরকারি ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অনু দে
advertisement
দিউতিমা-সুদীপ্তকে বিয়ের শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে আইনি মতে বিবাহ দেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রীতিমতো খুশির হাওয়া হাসপাতাল এ।
বরাহনগর এর বাসিন্দা সন্দীপ সরকারের ক্যান্সার ধরা পড়ে ২০১১ সালে। ক্যান্সারের জন্য ২০১১ সালে অপারেশন করা হয়। ২০১৭ সালে তাঁর শরীরের ক্যান্সার আরও ছড়িয়ে পড়ে। জিহ্বা ছাড়িয়ে তার মাথা ও গলায় ছড়িয়ে পড়ে। গত এক বছর ধরে ক্যান্সার নিয়ে কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সন্দীপবাবু।
বাবা যখন মৃত্যুশয্যায় তখন মেয়ে দিউতিমার বিয়ে ঠিক হয়। তিথি নক্ষত্র থেকে আনুষ্ঠানিক বিয়ে হবে আগামী রবিবার বরাহনগর বাড়িতে। কিন্তু বাবা তো সেই অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন না।বাবার আশীর্বাদ ছাড়া মেয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে কি করে? মেয়ে আর্জি জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বাবার আশির্বাদে অন্তত আইনে বিবাহ সম্পন্ন হোক হাসপাতালে। মেয়ের এই আরজি ফেরাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই অনেক অসুবিধা সত্তেও হাসপাতালের বেডে অভিনব বিবাহের আয়োজন।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছেন বাবা। তাকে সাক্ষী রেখে একদিকে সুদীপ্ত আর দিউতিমা। মঙ্গল আংটি পরিয়ে দিলেন একে অপরকে। ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অনু দে হাসপাতালে বসেই শয্যার সামনে দাঁড়িয়ে বিয়ের শপথ বাক্য পাঠ করালেন দুজনকে।
BISWAJIT SAHA
