এখানেই শেষ নয়, কুণাল ঘোষ বলেন, "তৃণমূলের ছেলেদের নামে এন আই এ-র কাছে অভিযোগ করবে, আর এখন ছাড়া যাবে না। বিজেপির ছেলেরা হামলা করে বাড়িতে ঘুমোবে এটা হবে না। পুলিশ একটু সময় চেয়েছে৷ রাতের বেলা বোমার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। বাইক বাহিনী ঘুরছে। পুলিশ গ্রেফতার করুক৷ তৃণমূলের কেউ অভিযুক্ত হলেও ছাড়া হবে না। ৭২ ঘণ্টা সময় দিলাম। না হলে মঙ্গলবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হবে। শাসক দলের দায়বদ্ধতা বেশি৷ স্থানীয় নেতৃত্ব DSP সাহেবের বৈঠকে যাবেন। আপাতত তিন দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত৷"
advertisement
পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, "তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার না হলে অনশনে বসব।" শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচতে ও বিজেপি গিয়েছে। ৮০% ক্ষমতা দখল নেবে আর ৮০% গালাগাল খাবে না তা হবে না। রাজনৈতিক সহকর্মীকে চাকর বাকর বলেছে। আসলে এটাই ওর শিক্ষা। ও আসলে অমিত শাহের চাকর। যাতে ওকে না গ্রেফতার করে। আমার কাঁধে বন্দুক রেখেছিল। আমার শিরদাঁড়া আছে আমি প্রমাণ করে দেব।" নন্দীগ্রামে আগামী দলীয় অবস্থান নিয়ে কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, "আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব৷ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গোকুলনগরের মানুষের আবেগ যেদিকে, আমরা সেদিকে।"
শশী পাঁজা বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে লক্ষ্মীর ভান্ডার, দুয়ারে সরকার করেন৷ আর এরা দুয়ারে সন্ত্রাস করেন। হার্মাদরা অন্য রূপে এসেছেন। বিজেপির রূপে এসেছেন। এদের চরিত্র বদলায় না। রক্ত যা ২০০৭ সালে ঝরেছিল। তার প্রতিবাদ হয়েছে৷ কলকাতা থেকে আসতেও পারি, কলকাতা থেকে এসে রাস্তাতেও বসতে পারি। ওরা কাপুরুষ, দেউলিয়া বলেই এভাবে মঞ্চ ভাঙতে পেরেছে। আমরা সকলেই সংঘবদ্ধ আছি। মমতা-অভিষেকের কথায় এসেছি৷ দল আমাদের উপরে, আমরা দলের উপরে নয়৷ ব্যবস্থা নিতেই হবে।"