গত ২৩ অক্টোবর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন আগেই। গত ১লা নভেম্বর খাতায় কলমে ছেড়েছেন পদ্ম শিবির। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ও কাঁথি সাংগঠনিক যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক বটকৃষ্ণ দাস এবং নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি জয়দেব দাস। তৃণমূলের দাবি, গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয়ের পিছনে এই দুই বিজেপি নেতার বড় ভূমিকা ছিল। তার পর এক বছরেই বদলে গিয়েছে চিত্র।
advertisement
দুই বিজেপি নেতার দাবি, শুভেন্দু অনুগামী নেতাদের জায়গা দিতেই তাদের উপর কোপ পড়ছে। অন্যদিকে, এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নতুন জেলা কমিটির নির্দেশ উপেক্ষা করে দলের পদে না থেকেও সভা-সমিতির আহ্বান করছেন তাঁরা। এর পরই গত ১২ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়দেব ও বটকৃষ্ণকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফাই দেন দুই নেতা। এরপর দল ছেড়েও দিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : তিন-তিনবার ফোন করেও মায়ের গলা শুনতে পাননি... ডুকরে কেঁদে ফেললেন অর্পিতা!
তাৎপর্যপূর্ণ হল, নন্দীগ্রামের এই দুই নেতা ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ ও সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে। সূত্রের খবর আগামীকালই তারা যোগ দেবেন তৃণমূলে। প্রসঙ্গত এই দুই নেতার মধ্যে বটকৃষ্ণ দাস, তমলুক জেলা কমিটির সদস্য ও নন্দীগ্রাম বিধানসভার কনভেনর ছিলেন।অন্যদিকে জয়দেব দাস নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মন্ডলের প্রাক্তন সভাপতি ও জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন। সূত্রের খবর এই দুই নেতার নিরাপত্তায় পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী কাল নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে সভা করবে তৃণমূল। সেখানেই সম্ভবত যোগ দিতে পারেন নন্দীগ্রামের গেরুয়াশিবির ত্যাগী দুই নেতা।