গত ১৮ জুন মমতার আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দ বেঞ্চে। বিচারপতি চন্দ সুবিচার দিতে পারবেন না, এমনই অনাস্থা জানিয়ে মামলা ছাড়ার আবেদন করেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ জুলাই নিজের উপর আনা অনাস্থা প্রস্তাব ওড়ান বিচারপতি চন্দ। তবে নির্দেশে বিচারপতি জানান, ১৮ জুন পরবর্তী একাধিক ঘটনাক্রমে স্পষ্ট যে কিছু সুবিধাবাদী ঢুকে পড়েছে বিচার বাঁচানোর নামে। এই সুবিধাবাদীদের সফল হতে দেওয়া যায় না। এরপরই নতুন করে বিতর্ক না বাড়াতে মামলা ছাড়েন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
advertisement
এরপর নন্দীগ্রাম মামলাটির শুনানি কোন বেঞ্চে হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব বর্তায় প্রধান বিচারপতির ওপর। হাইকোর্ট সূত্রে জানা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম ইলেকশন পিটিশন শুনানির জন্য এবার যাচ্ছে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙা কাণ্ডে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ রয়েছে ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি হিসেবে শম্পা সরকারের।
এদিকে নন্দীগ্রাম মামলা ছাড়ার পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার গরিমা নষ্টের দায়ে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি চন্দ৷ জরিমানা নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ ফোরামে যাওয়ার কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবী সঞ্জয় বোস। নতুন বেঞ্চে ইলেকশন পিটিশন এলে সেই বেঞ্চে জরিমানার টাকা দেওয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি চন্দ। 'নির্দেশ মোতাবেক জরিমানা কেন দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?' এই মর্মে যুক্তি দেখিয়ে মমতার আইনজীবী বিচারপতি চন্দের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করতে চান। তবে এই চ্যালেঞ্জ আবেদনের শুনানি হবে না বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে। সবমিলিয়ে বুধবার বা বৃহস্পতিবার বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে নন্দীগ্রাম ইলেকশন পিটিশন শুনানির জন্য আসলেও তা পুরোদমে হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যায়।