সন্তোষ যাদব (৩৮) নামে ওই তৃণমূল কর্মী নৈহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের গৌরীপুর এলাকায় থাকতেন৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এ দিন বিকেলে সন্তোষ টোটোয় করে বাড়ি ফিরছিলেন৷ জোড়া বাড়ি ব্যানার্জী পাড়ার কাছে টোটো থামিয়ে সন্তোষকে রাস্তায় নামায় কয়েকজন দুষ্কৃতী৷ এর পর খুব কাছ থেকে কপালে গুলি করা হয় সন্তোষকে৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সন্তোষের৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘শাশুড়ি আগে আসে, বউ পরে!’ লাল তৃণমূল বলায় দলেরই নেতাদের জবাব দিলেন উদয়ন
স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্তোষের গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা ছিল৷ তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে-র দাবি, চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা৷ ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি৷ সনৎ দে বলেন, ‘অর্জুন সিং লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই তৃণমূল কর্মীদের টার্গেট করছে৷ এর আগেও সন্তোষকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিল৷ রাজেশ সাউ, চিন্টু সিং সহ আট জন এসে এই হামলা চালিয়েছে৷ এরা সবাই অর্জুন সিংয়ের পোষা গুন্ডা৷’ নিহত তৃণমূলকর্মীর মায়েরও অভিযোগ, রাজেশ সাউ এবং তার দলবলই তাঁর ছেলেকে খুন করেছে৷
তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছেন, গুলি করার পর দুটি বাইক এবং গাড়ি নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা৷ যদিও তৃণমূল বিধায়কের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে অর্জুন সিংয়ের দাবি, পারিবারিক বিবাদের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে৷