সূত্রের খবর, বামনপুকুরে মেলা দেখতে নদিয়ার শান্তিপুরের হিজুলি গ্রামের বাসিন্দা জাহির শেখ মায়াপুর মোল্লাপাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে আসে। এরপর দুপুরে অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে জলঙ্গি নদীতে স্নান করতে নামে ওই কিশোর, এরপর স্নান করতে করতে কোনভাবে সে নদীতে তলিয়ে যায়। পরে তার অন্যান্য সঙ্গীরা নদীতে খোঁজ চালালেও জাহির শেখের কোন সন্ধান পায়নি, এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় জেলা বিপর্যয় মোকাবেলা দফতরে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ডুবুরি ও স্পিডবোট নিয়ে তলিয়ে যাওয়া কিশোরের সন্ধান চালাতে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: লোন নিয়ে বন্ধ পেনশনের টাকা…! মহা ফ্যাসাদে বৃদ্ধা, টাকা আদায়ে প্ল্যাকার্ড হাতে ব্যাঙ্কে ধর্না
উল্লেখ্য, দিনের পর দিন গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে একাধিক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। সাঁতার না জেনেও গভীর জলে নামায় বিপদের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, গরমের তীব্রতা থেকে মুক্তি পেতে বা পূণ্য অর্জনের আশায় বহু মানুষ গঙ্গায় স্নান করতে নামছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই সাঁতার জানেন না। ফলে, হঠাৎ গভীর জল, প্রবল স্রোত কিংবা পা পিছলে গিয়ে অনেকে ডুবে যাচ্ছেন। এই ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একাধিক যুবকের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, গঙ্গায় বহু জায়গায় পলি জমে তলদেশ অসমান হয়ে গেছে। কিছু জায়গায় হঠাৎ গভীর গর্ত পড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, বর্ষাকালে গঙ্গার স্রোত আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যারা সাঁতার জানেন না, তাদের এই সময় গঙ্গায় নামা একপ্রকার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বারবার সতর্কবার্তা জারি করা হলেও অনেকেই তা অমান্য করছেন। নদীর ধারে ‘সাঁতার না জানলে নামবেন না’ এই ধরনের সাইনবোর্ড থাকলেও অনেকে সেটি উপেক্ষা করছেন। কিছু এলাকায় আবার লাইফগার্ডের উপস্থিতি না থাকায় দ্রুত উদ্ধার করাও সম্ভব হচ্ছে না।
Mainak Debnath