সে বছরই বিদ্যালয়ে ওয়ার্ক এডুকেশন পরীক্ষায় ওই কানের দুলের সঙ্গে মিল করে হাতের কাজ হিসেবে বানায় একটি হার। ছোট্ট এই ছাত্রের সৃজনশীলতা দেখে মুগ্ধ হন কর্মশিক্ষার দিদিমণি নমিতা বিশ্বাস কুন্ডু। তিনি অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য নিজের জন্য একটি হারের অর্ডার দেন, উপযুক্ত পারিশ্রমিক তুলে দেন অনিরুদ্ধার মা ঝুমা ঘোষের হাতে। একের পর এক বিদ্যালয়ের প্রায় ১০-১২ জন দিদিমণি প্রত্যেকেই তাদের পছন্দ মতো ডিজাইন অনুযায়ী অনিরুদ্ধকে দিয়ে বানান নিজেদের নানা মাটির অলংকার। এভাবেই ব্যবসায় হাতে খড়ি হয় অনিরুদ্ধর। বর্তমানে অবশ্য বিদ্যালয়ের দিদিমণিরাও তাদের আত্মীয় পরিচিতদের কাছ থেকে অর্ডার এনে দেন অনিরুদ্ধকে। অন্যদিকে ওই ছাত্রের পরিবারবর্গ প্রতিবেশী এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও অর্ডার আসতে থাকে।
advertisement
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন শুধু পড়াশোনা নয় শিশুদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা সৃজনশীলতা খুঁজে বের করাই শিক্ষকদের কাজ। সবাই যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে এমন নয়। এখন আগ্রহের বিষয় অনুযায়ী বিভিন্ন ভোকেশনাল পড়াশোনা শুরু হয়েছে। অনিরুদ্ধ পড়াশোনাতেও যেমন ভাল ,তেমনই ভাল নাটক করে, ছবি আঁকতে ভালবাসে আবার ফুটবলও খেলে ভাল। তাই ওর আগ্রহ অনুযায়ী বিদ্যালয়ে সমস্ত উপযোগী ব্যবস্থা করে দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য।