পুরোহিতের উপস্থিতিতে চার হাত এক হওয়া থেকে সাত পাকে ঘোরা এবং মালাবদলও হয় এই অনুষ্ঠানে। এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে নবদ্বীপের বিভিন্ন শিব মন্দিরের ভিড় করেন স্থানীয় এবং বাইরে থেকে আসা অসংখ্য মানুষ। বাসন্তী দশমীর রাতে শিব পার্বতীর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহকারে সিংহাসনে বসে বেহারাদের কাঁধে চেপে মহাদেব বিয়ে করতে আসেন বিভিন্ন শিব মন্দিরে।
advertisement
আরও পড়ুন : মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার প্রথম ধাপ! ইসরো থেকে বিশেষ আমন্ত্রণ পূর্ব বর্ধমানের দুই স্কুলপড়ুয়াকে
নানা অনুষ্ঠানের পর ভোররাতে এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে নবদ্বীপের প্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত শিব মন্দিরের বুড়ো শিব, যোগনাথ শিব, বউবাজারের বানেশ্বর শিব, দণ্ডপাণি তলার দণ্ডপানি শিব ও চারিচারা বাজারের বালকনাথ শিব মন্দিরের প্রাঙ্গণ আলোকমালায় সেজে ওঠে। বিয়ের সকাল থেকেই শিব পার্বতীর বিয়ের বাসর সাজান ভক্তরা।
নবদ্বীপের পুরাতত্ত্ব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শান্তিরঞ্জন দেবের কথায় এটি একটি শিবকেন্দ্রিক লোক উৎসব। এই উৎসব নবদ্বীপ ছাড়া অন্য কোথাও দেখা যায় না। চৈত্র মাস জুড়ে শিবের নানা উৎসব হয়। যুগ যুগান্ত ধরে নবদ্বীপের প্রাচীন এই লোক উৎসব হয়ে আসছে।