এই অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখ্য বৈষ্ণব সম্মেলন, নবদ্বীপ মণ্ডল পরিক্রমা, বিশ্বশান্তি যজ্ঞ নৌকা বিহার, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন ভাষায় ভাগবত পাঠ, একাধিক সেমিনার, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তবৃন্দের বিভিন্ন ভাষায় ভজন কীর্তন, বিভিন্ন নাটক, সঙ্গীত এবং শ্রী শ্রী রাধামাধবকে হাতির পিঠে আহরণ করিয়ে মন্দির চত্বর পরিক্রমা ও বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে এই দিন গুলিতে।
advertisement
আরও পড়ুন : চুরি গেল রুপোর বাঁশি ও বহুমূল্য অলঙ্কার, মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি ঘিরে চাঞ্চল্য নবদ্বীপে
জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্যই রয়েছে মন্দিরের প্রবেশাধিকার। সন্ধ্যাবেলা দেখা যায় মায়াপুর মন্দির চত্বরে আলোর রোশনাই ও রঙিন আলপনার সুসজ্জিত কারুকার্য। দূর দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের নিরাপত্তার দিকেও যথেষ্ট নজরদারি রাখা হয়েছে। দোল পূর্ণিমার আগে থেকেই হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেন মায়াপুরে। মন্দিরের সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১৮ মার্চ শুক্রবার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাবের দিনটিও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গেই পালন করা হবে। ওইদিনই বসন্ত উৎসব, দোল পূর্ণিমা। দোল পূর্ণিমায় সর্বত্রই চলে রং ও আবিরের খেলা। কিন্তু ইসকন মন্দিরে রং ও আবির খেলা হয় না। সেই দিন মন্দিরে চলে একাধিক উৎসব। সন্ধ্যায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আবির্ভাব ক্ষণে দেওয়া হবে পুষ্পাঞ্জলি ও প্রার্থনা করা হবে বিশ্বশান্তি ও বিশ্বকল্যাণের জন্য।
আরও পড়ুন : অসুস্থ স্বামী কর্মহীন, টোটো চালিয়ে অন্নসংস্থান দুই সন্তানের মায়ের
করোনা বিধি মেনেই প্রতিটি অনুষ্ঠান পালন করা হবে বলে জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ। গত দু'বছর করোনা অতিমারির কারণে সেই ভাবে পালন করা হয়নি দোল উৎসব। কিন্তু এবছর প্রকোপ অনেকটা কমায় ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে।
( প্রতিবেদন : মৈনাক দেবনাথ)