জানা গিয়েছে, মৃত ওই চিকিৎসকের নাম শালিনী দাস (৩১)৷ তিনি গত তিন মাস কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তার আগে তমলুক হাসপাতালেও দু বছর কাজ করেছেন তিনি৷ এর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে রোগীদের অ্যানেস্থেশিয়া করাতেন তিনি৷
পুলিশ সূত্রে খবর, তমলুকের একটি ভাড়া বাড়িতে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা চিকিৎসক৷ তাঁর মায়ের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শালিনী৷ প্রথমে মহিষাদলের একটি নার্সিংহোমে গিয়ে রোগীকে অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার কথা ছিল তাঁর৷ এর পর তমলুকের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে যান৷ বাড়ি ফেরেন সকাল ১১টা নাগাদ৷
advertisement
তখনই ওই মহিলা চিকিৎসকের মা দেখেন, শালিনীর হাতে চ্যানেল করা রয়েছে৷ যদিও সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় মেয়ের হাতে এরকম কোনও চ্যানেল ছিল না বলেই ওই চিকিৎসকের মায়ের দাবি৷ বাড়ি ফেরার পর শালিনী হঠাৎই মাটিতে পড়ে যান৷ এর পর তাঁর হাতের চ্যানেল থেকে রক্তপাত শুরু হয়৷
সঙ্গেই সঙ্গেই ওই তরুণী চিকিৎসককে কাছের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷
তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে রীতিমতো রহস্য তৈরি হয়েছে৷ কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷