জানা গিয়েছে, মৃত ওই ছাত্রের নাম সাগর চৌধুরী৷ খড়দহের পাতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল সাগর৷ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফল ভাল হওয়ায় ওই ছাত্র গতকাল সারাদিন খুশিই ছিল বলে দাবি তার পরিবারের সদস্যদের৷ সাগরের বাবা শম্ভু চৌধুরী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে নিজের ঘরেই ঘুমোতে যায় সাগর৷ তাঁর পরিবারের সদস্যদের ধারণা, কোনও কারণে রাতেই বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে সম্ভবত বেরিয়ে গিয়েছিল ওই ছাত্র৷
advertisement
আরও পড়ুন: জগন্নাথ ধাম নামকরণে আপত্তি, পুরীর নিম কাঠেই দিঘায় বিগ্রহ? তদন্তের নির্দেশ ওড়িশা সরকারের
ভোরবেলা বাড়ির একেবারে সামনে একটি আম গাছের নীচ থেকে সাগরকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷ মৃত ছাত্রের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সাগরের শরীরের কোমর থেকে পা পর্যন্ত অংশের হাড় ভাঙা ছিল৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের৷
ফলে পথ দুর্ঘটনায় সাগরের মৃত্যু হয়েছে নাকি তাকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য৷ কোনও কারণে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আত্মঘাতী হয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট নয়৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ৷ সাগরের মোবাইলের কল লিস্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে৷
মৃত ছাত্রের বাবা শম্ভু চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল সারাদিন ও খুব আনন্দেই ছিল৷ রাতে খাওয়াদাওয়া করে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি৷ ভোরবেলা উঠে দেখি বাড়ির কাছেই ও পড়ে কাতরাচ্ছে৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন ওর কোমরের নীচ থেকে সব হাড় ভাঙা ছিল৷ চোখের সামনেই ছেলেটা মারা গেল৷ কীভাবে এরকম হল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না৷’
পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কিশোর বৈশ্যের দাবি, আম গাছের নীচে যে জায়গায় ওই ছাত্র পড়েছিল, সেখানে একটি বড় গর্ত ছিল, তার পাশের একটি ছোট গাছও ভাঙা ছিল৷ সবমিলিয়ে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে৷