অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই চাপের মধ্যেও অসাধ্য সাধন করেছে টিম বিল্পব। এর আগে ২০১৩ সালে কলকাতার সূর্য সেন স্ট্রিটে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২৭ জনের ময়নাতদন্ত করেছিলেন তাঁরা। আর এবার একটানা ৩৬ জনের ময়নাতদন্ত। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করেছেন তাঁরা। ফের মঙ্গলবার সকালে ছ'জনের ময়নাতদন্ত করেছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগ। এদিন জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
advertisement
কারও ছেলে। কারও বাবা। তো কারও সন্তান। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের পর নিথর শরীর তুলে দেওয়া হয় পরিজনেদের হাতে। সাদা কাপড়ে ঢাকা দেহগুলি আঁকড়ে চলছে স্বজনহারার বিলাপ। মর্গের সামনে কারও চোখের জল বাঁধ মানছে না। কেউ জ্ঞান হারাচ্ছেন। দৌলতাবাদের দুর্ঘটনায় একসঙ্গে কতগুলি পরিবারের স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটল? সঠিক সংখ্যাটা এখনও জানা নেই।
সোমবার সকালে নদিয়ার করিমপুর থেকে বহরমপুর যাচ্ছিল বাসটি। দৌলতাবাদে সেতুর উপর রেলিং ভেঙে বাস তলিয়ে যায় নদীতে। সন্ধেয় যখন নদী থেকে বাস তুলে আনেন এনডিআরএফ কর্মীরা, ততক্ষণে নিথর হয়ে গিয়েছে ৪২টি মানুষ ৷